বিবর্তনে আরো বেশি সংক্রামক হয়ে উঠছে করোনা। আমেরিকার হিউস্টোনের একদল বৈজ্ঞানিক এমনই করোনার বিবর্তনবাদের কথা শোনালেন। সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যগবেষণা সম্পর্কিত জার্নালে তাদের গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগেও করোনার বিবর্তন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করলেও বড়ো মাত্রার গবেষণা এই প্রথম। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র ট্রেডস গ্যাব্রিয়াসিস এর মতে “পরের বছরের শুরুতে বেশ কয়েকটি করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসতে চলেছে, তবে যদি করোনার বিবর্তনবাদ প্রকৃত অর্থেই হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্ত ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়”। তবে আশার কথা এই যে যত বেশি এই ভ্যাকসিন গুলো পরীক্ষা করা হবে ঠিক ততো গুণেই বাড়বে কার্যকরী প্রতিষেধক পাওয়ার সুযোগ।
তবে গবেষকদের দলটি দাবি করছেন যে মিউটেশনের ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়লেও বাড়েনি তার মারণ ক্ষমতা। করোনার কবলে গোটা বিশ্বের ইতিমধ্যেই অবস্থা নাভিশ্বাস। এরপর যদি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেড়ে যায় তাহলে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্যপরিসেবার উপর সেটা আরো চাপ তৈরি করবে।
মার্কিন ভাইরোলজিস্ট ডেভিড মোরেন্সের মতে করোনার সংক্রমণ ক্ষমতা যে বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই, হাত স্যানেটাইজ করা, দূরত্ব বিধি বজায় রাখা ইত্যাদির ফলে ভাইরাসটির মিউটেশন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র এই গবেষণার ভিত্তিতেই কোনরকম উপসংহারে না পৌঁছনোই ভালো বলে মনে করেন ডেভিড, তার মতে ভাইরাসটি নিয়ে আরো বেশি করে গবেষণার দরকার আছে।
ইতিমধ্যেই ইউরোপ জুড়ে আছড়ে পড়েছে সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে করোনাকে বাগে আনার জন্য। বৃটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা করেছেন নতুন অর্থনৈতিক প্ল্যান যেখানে বলা হয়েছে নভেম্বর থেকে শুরু করে ছয় মাস পর্যন্ত কর্মীদের কাজের সময় হিসেবে দুই-তৃতীয়াংশের বেতন দেওয়া হবে সরকার পক্ষ থেকে। এতে ব্যবসায়ী কতৃপক্ষ গুলির উপর চাপ কমবে এবং কর্মী ছাঁটাই কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।