হাথরাসে নির্যাতিতাকে মেরেছে মা এবং দাদা, দাবি মূল অভিযুক্তের

হাথরাসে নির্যাতিতাকে মেরেছে মা এবং দাদা, দাবি মূল অভিযুক্তের

নিজস্ব প্রতিবেদন, হাথরাসের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়নি। উত্তরপ্রদেশের ওই দলিত তরুণীকে মেরে ফেলেছেন ওঁর মা ও দাদা। এমনই বিস্ফোরক দাবি করল হাথরাস কাণ্ডের অভিযুক্তরা। পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে তারা এমনটাই লিখেছে। পাশাপাশি এই মামলায় যেন নিরপেক্ষ তদন্ত হয়, এমনই দাবি জানিয়েছে তারা। তারা জানায়, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। মেয়েটি তার পরিবারের হাতে খুন হয়েছে। বুধবার হাথরাসের পুলিশ সুপারের উদ্দেশে তারা একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সন্দীপ, রামু, লবকুশ ও রবির বুড়ো আঙুলের ছাপ রয়েছে।

ঘটনার বিশদ উল্লেখ করে অভিযুক্ত সন্দীপের দাবি, ওই তরুণীর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় সে যুক্ত নয়। চিঠিতে সে স্বীকার করে হাথরসের তরুণী ছিল তার পরিচিত। ওই তরুণীর সঙ্গে তার যোগাযোগও ছিল। দলিত তরুণীর মৃত্যুর জন্য উল্টে তাঁর মা ও দাদাকে দায়ী করেছে মূল অভিযুক্ত। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সে জানান, মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে দলিত পরিবারটি।কিন্তু দলিত তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে খবরের শিরোনামে হাথরস ধর্ষণকাণ্ড।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার ওই দলিত যুবতী ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হন। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই গোটা দেশ গর্জে উঠছে অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কর্তা জানান, তরুণীর সঙ্গে মূল অভুযুক্তের সম্পর্ক ছিল, তারা দুজনে বন্ধু ছিল। ফোন রেকর্ড চেক করে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা নির্দিষ্ট ওই নম্বরে কথা হয়েছে উভয়ের। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে তরুণীর দাদা। এদিকে তরুণী যে নাম্বারে কথা বোল্ট, সেই নম্বরটি তরুণীর দাদার নামে রেজিস্টার্ড। পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করছে।

Leave a Comment