ভেস্তে গেল বড়সড় হামলার ছক, দিল্লিতে গ্রেফতার ৪ কট্টর কাশ্মীরি জঙ্গি
নিজস্ব প্রতিবেদন, দিল্লি পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হল চার কাশ্মীর জঙ্গি। শনিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়, সাথে ধৃতদের কাছ থেকে চারটি অত্যাধুনিক পিস্তল ছাড়াও ১২০ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।পুলিশ আগেই সূত্র মারফত খবর পেয়েছিল, রাজধানীতে বড় হামলার পরিকল্পনা করেই দিন কয়েক আগে তারা দিল্লিতে এসে আশ্রয় নেয়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে হামলার ছক কষছিল।এই চার কাশ্মীরি যুবার গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল পুলিশ। সুযোগ বুঝে গ্রেফতার করে তাদের।
এই চার কট্টর জঙ্গির একজন ইশফাক মজিদ কোকা। কাশ্মীরে নিহত জঙ্গি বুরহান কোকার বড়দা। বুরহান কোকা ছিল আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের প্রাক্তন প্রধান। জম্মু-কাশ্মীরে আল-কায়দার একটি শাখা হল গজওয়াত-উল-হিন্দ। বাকি তিন জনের নাম আলতাফ আহমেদ ডর, মুস্তাক আহমেদ গনি ও আকিব সফি।চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল শোপিয়ানের মেলহোরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে আরও দুই জঙ্গির সঙ্গে নিহত হয় আনসার গজওয়াত উল হিন্দের প্রধান বুরহান কোকা। বুরহানের মৃত্যুর পর তার বড়দা ইশফাক মজিদ কোকাও আনসার গজিওয়াত-উল- হিন্দে নাম লেখায়। শুরু হয় জঙ্গি কার্যকলাপ।
পুলিশ অধিকর্তা জানান, “সোর্সের খবরের ভিত্তিতে আইটিও-র কাছে ফাঁদ পাতা হয়। তারপর রিং রোডে ওই চার জনকে একটি গাড়িতে দেখতে পেয়ে পুলিশ পিছু নেয়। পুলিশের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপর জঙ্গিরা আর পালাতে পারেনি”।ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তারা নয়াদিল্লি রেল স্টেশন লাগোয়া ঘিঞ্জি পাহাড়গঞ্জ এলাকায় ছিল। স্পেশ্যাল সেলের ডিসিপি পিএস কুশওয়া জানান, শনিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে দিল্লির রিং রোড এলাকা থেকে এই চার জনকে তাঁরা গ্রেফতার করেছেন।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক জেরায় ইশফাক স্বীকার করে সে আনসার গজওয়াত উল হিন্দের হয়ে কাজ করছে। আকিব শফি কোকাকে নিজের তুতো ভাই বলে সে পরিচয় দেয়। জম্মুতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বিএ পড়ছে আকিব। আলতাফ আহমেদ ডর ইশফাকের গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করে। চতুর্থ জনের নাম মুস্তাক আহমেদ গনি। শ্রীনগরের লোকাল ট্যাক্সিচালক।