নিজেদের রাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুক পরিযায়ী শ্রমিকদের আজ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই চিহ্নিতকরণ ও তাদের বাড়ি ফেরানোর কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্র এর আগেই সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই প্রায় এক কোটি শ্রমিককে নিজেদের রাজ্যে ফেরানো হয়েছে। সরকারের ধারণা যে হারে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে পাঠানো হয়েছে তাতে এরপর হয়তো আর নতুন করে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর প্রয়োজনও হবে না। তবে আইনজীবি মহল প্রশ্ন তুলেছে যে সুপ্রিম কোর্ট হয়তো পরিযায়ী শ্রমিক বিষয় হস্তক্ষেপে অনেক দেরি করে ফেলেছ।
লকডাউন এর পর থেকেই পরিযায়ী শ্রমিক দের দুর্দশা সম্পর্কে অনেকেই সরব হন এবং সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা রুজু করেন কিন্তু সেই অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রের মামলায় হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে এরপর বেশ কয়েকজন প্রবীণ আইনজীবী এ বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করলে সুপ্রিম কোর্ট স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করে। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ পাঁচ দফা নির্দেশ সরকারকে দেন।
শীর্ষ আদালত বলেন ১৫ দিনের মধ্যে ঘরে ফিরতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে, রাজ্য চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের বন্দোবস্ত করতে হবে, ঘরে ফেরা শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য হেল্প ডেস্ক তৈরি করতে হবে, শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চাইলে তাদের সাহায্য করতে কাউন্সেলিং সেন্টার খুলতে হবে, লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় নামার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যে কোন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য কি কি প্রকল্প তারা গ্রহণ করছে সেগুলো স্বত্তর জানাতে হবে এবং শ্রমিকদের কাজের দক্ষতা হিসেবে তাদের একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৮ জুলাই দিন স্থির করা হয়।
রেলের হিসেবে প্রায় এক কোটির মধ্যে ৬০ লক্ষ শ্রমিক ট্রেনে করে ঘরে ফিরেছেন। আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তকরণ এর কাজ বিকেন্দ্রীকরণ করে থানা বা স্থায়ী সরকারি দপ্তরে করা হোক এবং কোথায় কখন বাস বা ট্রেন ছাড়ছে তার প্রচার সংবাদমাধ্যমে করা হোক।