মাস্ক না পড়ায় আইনজীবীকে অপমান, পাল্টা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি আইনজীবীর

মাস্ক না পড়ায় আইনজীবীকে অপমান, পাল্টা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি আইনজীবীর

নিজস্ব প্রতিবেদন, গোটা দেশ অতিমারী করোনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের ও অন্যান্যদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক পড়া, সোশ্যাল ডিস্টেন্স পালন করা অত্যাবশ্যক।মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলে বিভিন্ন জায়গায় জরিমানা নিচ্ছে। সম্প্রতি সুবোধ শর্মা নাম একজন আইনজীবী মাস্ক না পড়ায় তাঁর থেকে ৫০০ টাকা ফাইন নেওয়া হয়। তারপরই সুবোধ বাবু অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি একা গাড়ি চালাচ্ছিলেন যখন, তখন মাস্ক না পরার অপরাধে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অপমানের তিনি বিচার চান। এ জন্য তিনি ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি সরকারকে নোটিস পাঠালো দিল্লি হাইকোর্ট।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সুবোধ বাবু নিজে গাড়ি চালিয়ে অফিস যাচ্ছিলেন। গাড়িতে তিনি একা ছিলেন। তখন তিনি মাস্ক ছাড়াই ছিলেন। তা দেখে গীতা কলোনির কাছে পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। এক পুলিশকর্মী তাঁর ছবি তোলেন। মাস্ক না পরে থাকায় তাঁর থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। ঘটনায় তিনি ভীষণভাবে অপমানিত হন। তিনি তাঁর এই অপমানের বিচার চান। শুনানির সময়ে শর্মার আইন উপদেষ্টা তথা বার কাউন্সিল অফ দিল্লি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে সি মিত্তাল বেঞ্চকে বলেন যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতে একা গাড়ি চালানোর সময়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।

একক বিচারক বেঞ্চে আসীন জাস্টিস নবীন চাওলা সংশ্লিষ্ট অভিযোগের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক, দিল্লির রাজ্য সরকার, দিল্লির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং দিল্লি পুলিশের কাছে। সবার নামেই আদালতে পিটিসন দায়ের হয়েছে।অভিযোগকারী সুবোধ বাবু তাঁর পেশা নিয়ে ২০ বছর ধরে প্রাকটিস করে আসছেন। তিনি বলেন, আইনে কোথাও এটা নেই, একা গাড়ি চালানোর সময়ে মাস্ক বাধ্যতামূলক হিসেবে দেখানো হয়নি মন্ত্রকের তরফে। তাঁকে এই অপমান করার জন্য তিনি ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

Leave a Comment