এবার আপনার দরজা গোড়ায় ‘দুর্গা গাড়ি’ নিয়ে আসছে ‘যোধপুরপার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি’
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা আবহে এ বছর পুজোর গন্ধটা যেন তেমন নাকে আসছে না! তবে পুজো কি বন্ধ করা যায়? করোনার সঙ্গে লড়াই করে এবার দেবী দুর্গার আরাধনা করতে প্রস্তুত সকলেই। তবে পুজোর ভিড় কি এবারে তেমন ভালো লাগবে? মনে যে করোনার আতঙ্ক। কিন্তু বাড়ি বসে তো পুজোর আনন্দ ভোগ করা যায় না! তাই আমাদের মতো পূজাপ্রেমী দর্শকদের জন্য ভাবলেন যোধপুরপার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির কর্মকর্তারা। টালা থেকে টালিগঞ্জ- বেহালা, নিউটাউন, সল্টলেক, ফুলবাগান, শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া- সর্বত্রই উপস্থিত থাকবেন যোধপুরপার্ক-এর ঠাকুর। শুধু ঠাকুর নয় সাথে থাকবেন পুরোহিত, ঢাকি, ফল থেকে নৈবিদ্য সাজানোর জন্য পুজো কমিটির সদস্যদের তরফে দু-একজন। যে পাড়াতেই ডাকবেন, সেখানে সর্বত্র নিয়ে হাজিরা দেবেন ‘এনারা’। অসম্ভব মনে হচ্ছে?
অতিমারীর জেরে এমনই প্ল্যান করেছেন ‘যোধপুরপার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি’। বোধন, বরণ, কলাবউ স্নান, পুজো, অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যারতি, সন্ধিপুজো কিংবা বলি- যা দেখতে চান, তাই দেখতে পাবেন। এবার ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বলা যাক। যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন্ত রায় বলেন, “আমাদের পুজোর কনসেপ্ট এবারে একেবারে আলাদা। প্রতিবছর শহর থেকে শহরতলির মানুষ আমাদের মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে আসেন। এবারে অতিমারীর জেরে অনেকেই ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাবেন। তাছাড়া প্রায় সব বাড়িতেই বাচ্চা এবং বয়স্করা রয়েছেন। সেক্ষেত্রে সংক্রামিত হওয়ার ভয় থেকেই যাবে। তাই আমরাই এবারে ঠাকুর নিয়ে পৌঁছে যাব তাদের বাড়ির দোরগোড়ায়।”
করোনা আবহে সকল শর্ত মেনে, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখেই ‘দুর্গা গাড়ি’ নিয়ে পৌঁছে যাবে সে সকল পাড়ায়, যে সব পাড়ায় পুজো হয় না। সুমন্ত বলেন, “আমাদের ‘দুর্গা গাড়ি’ নিয়ে আমরা যে সব পাড়ায় পুজো হয় না, সেই সব পাড়ায় পৌঁছনোর চেষ্টা করব। তবে অবশ্যই ট্র্যাফিক এবং অতিমারী আইন মেনে। পাশাপাশি আমাদের ফোন করে ডাকলে আমরা শহরের যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকব। তাই ষষ্ঠীতে বোধণ পর্ব যদি হয় বরানগরে হয়, কলাবউ স্নানের জন্য হাওড়াতেও পৌঁছে যেতেই পারি, যদি কেউ সেই রীতি দেখার জন্য আমাদের আহবান জানায়। অষ্টমীর অঞ্জলি হতেই পারে ফুলবাগান কিংবা ইএম বাইপাস সংলগ্নও কোনও একটি পাড়ায়। আবার বিসর্জন হতে পারে পাটুলি কিংবা পোদ্দারনগরে।”
এবছর শিল্পী বাপাই সেন-এর পরিকল্পনাতেই সেজে উঠবে ‘Durga On Wheels’ অর্থাৎ যোধপুরপার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির ‘দুর্গা গাড়ি’। সকলকে পুজোর আনন্দ দিতে এমন পরিকল্পনা তাঁর। এবার তাই করোনাকে ভুলে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠার সময় এসেছে।