‘করোনার অব্যর্থ প্রতিষেধক হয়তো কোনদিনই আবিষ্কার হবে না’, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেডরোস-এর দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য দিন – রাত পরিশ্রম করে চলেছে গবেষকরা। মনে করা হচ্ছে এ বছরের মধ্যেই হয়তো এসে পর্বে প্রতিষেধক। ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে চলছে বিভিন্ন করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।হয়তো এরমধ্যেই কোনও একটা করোনা রুখতে উপযোগী বলে চিহ্নিতও করা হবে।কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেডরোস আঢানম কিছু আলাদাই কথা বললেন, যা ফের সংশয়ে ফেলে দিচ্ছে দেশবাসীকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেডরোস আঢানম বলেন, অব্যর্থ প্রতিষেধক কোনোদিন আবিষ্কার নাও হতে পারে। গতকাল জেনেভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক অনুষ্ঠানে টেডরোস বলেছেন, “বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ফেজ – থ্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। সংক্রমণ রােধে তা উপযােগী হয়ে উঠবে হয়ত। তবে এই মুহূর্তে করােনা প্রতিরােধের অব্যর্থ দাওয়াই নেই , তা কখনও না – ই আবিষ্কার হতে পারে।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, করােনা ভাইরাসের প্রকোপ আগামী কয়েক দশক এভাবেই থাকতে পারে।গোড়া থেকে নির্মূল করার মতো ভ্যাকসিন হয়তো এখনই আবিস্কার হবে না।ফলে আমাদের সারা জীবন সাবধানতা অবলম্বন করে যেতে হতে পারে। এই মুহূর্তে করোনা প্রতিষেধক শুধুমাত্র মহামারীকে সামাল দিতেই প্রয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনা ভ্যাকসিন, ভারতের কোভ্যাক্সিন, এবং রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন- এই তিনটি ভ্যাকসিন নিয়েই আশাবাদী গোটা বিশ্ব।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করােনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৮ মিলিয়নেরও বেশি, মারা গেছেন প্রায় সাত লক্ষ মানুষ। আমেরিকার পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয়, তারপরেই রয়েছে ব্রাজিল। ভারতের অবস্থাও ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠছে। এমতাবস্থায় সকলেরই লক্ষ্য করােনা প্রতিষেধক যত শীঘ্রই সম্ভব বাজারে আনা।