রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত-পাকিস্তান বাকযুদ্ধ

গতকাল ইমরান খান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে আরএসএস কে জার্মানির নাৎসি পার্টির সাথে তুলনা করেন। তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে ভারতে নাকি দিনের-পর-দিন মুসলিমদের অধিকার লংঘন হচ্ছে। কাশ্মীর কার্ড খেলা পাকিস্তানের কাছে নতুন কিছু নয়, পাকিস্তানের প্রত্যেকটি প্রপাগণ্ডাতেই স্থান পায় কাশ্মীর। ইমরান খান রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তৃতায় বলেন যে কিভাবে কাশ্মীরের মুসলিমদের অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। তিনি গুজরাট দাঙ্গা এবং দিল্লী রায়ট প্রসঙ্গেও মুসলিমদের অত্যাচারিত হওয়ার কথা বলেন।

এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইমরান খানের মুসলিম ধর্ম কেন্দ্রিক বক্তৃতা শুরুর সাথেই ওয়াকআউট করেন ভারতের স্থায়ী সদস্য টি এস থিরুমূর্থি। পরে তিনি টুইটারে লেখেন “কূটনৈতিক নিম্নগামীতার শিখরে পৌঁছলো ইমরান খান, এর উত্তর দেওয়া হবে জবাব দেওয়ার অধিকারে “।

রাষ্ট্রপুঞ্জে আজ এর জবাব দিতে গিয়ে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিত বলেন “এই দেশটির একটি উল্লেখযোগ্য রেকর্ড আছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকার বেশিরভাগ জঙ্গী এই দেশে থাকে। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী ওসামা-বিন-লাদেনকে শহীদ বলে সম্বোধন করেন। পাকিস্তানের বুকে সংখ্যালঘুদের কি অবস্থা তার সম্পর্কে সমস্ত দেশই অবগত”। ইমরান খানকে বিঁধে ভিনীত বলেন ” এই মঞ্চ এতক্ষণ ধরে এক মিথ্যেবাদী, যুদ্ধবাজের হুংকার শুনলো”। ভিনীত রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে অনুরোধ জানান “পাকিস্তানের যে সংস্থাগুলি মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসকে মদদ দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের উচিত তাদের নিয়ে আলোচনা করা”। তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বলেন ” ভারতের কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার আগে পাকিস্তানের উচিত বেআইনিভাবে কব্জা করা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সুযোগ সুবিধাগুলি আগে দেখা তারপর অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলা”।

Leave a Comment