লাদাখ নিয়ে চীনের সাথে সংঘাত এড়ানো গেলেও কেন্দ্রীয় সরকার চীনকে বিশ্বাস করতে রাজি নন। বিশেষ করে যেখানে তাদের আগ্রাসন নীতি এর আগেও এমন বহু দেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। গলওয়ান থেকে চীন সেনা সরলেও পাংগং -এ পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। দুপক্ষ কিছু কিলোমিটার করে পিছালেও তাদের সেনা শক্তি এলএসি বরাবর যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে।
এমত অবস্থায় সকালে দক্ষিণ কোরিয়া ও বিকেলে আমেরিকার সাথে আলোচনা করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং । আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া ভারতকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। দেশদুটির সাথে সামরিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী মনোভাব এবং ভারত সীমান্ত ছাড়াও হংকং এবং তিব্বতে চীনের আগ্রাসন নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা বার বার সরব হয়েছে।
গলওয়ান অঞ্চল থেকে চীন পিছু হোটলেও ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ চীনকে বিশ্বাস করতে রাজি নয়, তাই সীমান্তে ভারত নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলছে। ট্যাংক, লাইট ক্যানন এম-৭৭৭ ছাড়াও বায়ুসেনা নিজের অত্যধুনিক বিমান যেমন সু-৩০ এমকেআই, মিগ্-২৯ ইত্যাদি সীমান্তে মোতায়ন করেছে। সেনা মোতায়নের জন্য সি-১৭ গ্লোবমাস্টার, সি-১৩০জে হারকিউলিস বিমান এবং চিনুক হেলিকোপটার মোতায়ন করেছে।