একাধিক এলাকা থেকে ভারত ও চীনের বাহিনী প্রত্যাহার

সীমান্তে চীনের সাথে উত্তাপ কিছুটা কমলো। দু পক্ষের সমঝোতা অনুযায়ী লাদাখে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর সেনা সমাবেশ কমানো হোলো। ভারত ও চীনের সেনাকে সংঘাতের এলাকা থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে আনা হয়েছে।

প্যাংগং তট ও গলওয়ান উপত্যকা সহ একাধিক এলাকায় মুখোমুখি সৈন্য সমাবেশ করেছিল ভারত ও চীন। মে মাসের শুরুর দিকে উত্তর সিকিম থেকে পূর্ব লাদাখের মধ্যে বেশ কয়েক জায়গায় চীনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। এবং ভারতীয় সেনা যখন এতে বাধা দেয় তখন দু বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির খবরও এসেছিল।

মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়, লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল অমান্য করে গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং তট সংলগ্ন এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশ করে এবং অস্থায়ী ছাউনি বানিয়ে ফেলে, এরপর ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় সীমান্ত রক্ষার খাতিরে ভারতীয় সেনা ও সেইসব এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সৈন্য সমাবেশ করে।

যদিও সীমান্তে আগ্রাসন কমাতে দুই পক্ষই সক্রিয় হয় এবং নয়াদিল্লি ও বিজিং-এর কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসে দুই বাহিনী এবং সেখানে লাদাখের একটি এলাকায় বাহিনী প্রত্যাহার করে দুই দেশই।

প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, সীমান্তে সংঘাত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের এলাকা থেকে সেনা তিন থেকে চার কিলোমিটার করে পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেটি ভারত ও চীন দুপক্ষই করেছে।

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা বিশ্বেই আর্থিক মন্দা তৈরি হয়েছে, এবং এরকম পরিস্থিতিতে যুদ্ধ যে একেবারেই প্রত্যাশিত নয় সেটা বলাই বাহুল্য, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ধীরগতিতে বাহিনী প্রত্যাহার একটি ভালো লক্ষণ এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যে ফল দিচ্ছে সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। তবে সমগ্র সীমান্ত এখনো শান্ত নয় বিশেষ করে প্যাংগং এলাকায় এখনো চীনা বাহিনী অবস্থান করছে এবং তাদের ঠেকাতে এখনো ভারতীয় বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে, তবে আজকে আবার একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে এরপর সম্মুখ প্রত্যাঘাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমেই দুই দেশ এর মীমাংসা করতে পারবে।

Leave a Comment