আগামী ৫ বছরে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে প্রায় ১২ শতাংশ! দাবি গবেষকদের

আগামী ৫ বছরে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে প্রায় ১২ শতাংশ! দাবি গবেষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন, ক্যান্সার, নামটা শুনলে মৃত্যু ভয় লাগতে পারে! তবে আজ ম্যাডিকেল সিস্টেমের উন্নতির জেরে বহু মানুষ ক্যানসারকে হারিয়ে নতুন জীবন যাপন করছেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা ক্যানসারকে বিনাশ করতে সক্ষম। তবে দিন দিন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশ বাড়ছে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকাল রিসার্চের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগামীদিনে প্রতি ঘরে একজন ক্যান্সার রোগী থাকবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তথ্য অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে ১২ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১৩.৯ লাখ।

মঙ্গলবারই আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ ইনফরম্যাটিক্স অ্যান্ড রিসার্চের তরফে প্রকাশিত হয়েছে ‘ন্যাশনাল ক্যানসার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রাম রিপোর্ট ২০২০’। ২০২০ সালের ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে এই রিপোর্ট বানানো হয়েছে। ক্যানসার ডেটা তৈরি করতে ICMR ২৮টি পপুলেশন বেসড ক্যানসার রেজিট্রি এবং ৫৮টি হাসপাতাল ক্যানসার রেজিস্ট্রি থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।

জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ মহিলারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। মহিলাদের স্তনের ক্যানসারের সংখ্যা ২ লাখ অর্থাত্‍ ১৪.৮ শতাংশ, সার্ভিক্সের ক্যানসার ৭৫ হাজার অর্থাত্‍ ৫.৪ শতাংশ। অন্যদিকে নারী পুরুষ নির্বিশেষে গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের। অর্থাত্‍ মোট ক্যানসার আক্রান্তের প্রায় ১৯.৭ শতাংশ।পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্য ক্যান্সারের একটি মুখ্য কারণ। এর জেরে ২৭.১ শতাংশ মানুষের ক্যান্সার হয়েছে। পুরুষরা বিশেষত ফুসফুস, মুখ, পাকস্থলী এবং ইসোফেগাসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালে ৬,৭৯,৪২১ জন পুরুষের শরীরে ক্যানসার পাওয়া গিয়েছে। ২০২৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৭,৬৩,৫৭৫ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ২০২০ সালে ৭,১২,৭৫৮ জন মহিলার ক্যানসার ধরা পড়েছে। ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে ৮,০৬,২১৮ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দিল্লির AIIMS-এর রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ডা পি কে জুলকা জানিয়েছেন, “গত বেশ কিছু বছরে আমাদের দেশে ক্যানসারের চিকিত্‍সা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এখন আমরা টার্গেটেড থেরাপির ব্যবহার করি, ফলে চিকিত্‍সায় দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়। ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও, সুখবর হল বহু মানুষ প্রাথমিক স্টেজেই চিকিত্‍সকের কাছে আসছেন। ফলে সেরে ওঠার সম্ভাবনাও বাড়ছে। আমাদের হাতে এখন উন্নতমানের পরীক্ষার সুবিধে রয়েছে। আগে স্টেজ ৪ ফুসফুস ক্যানসারের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের আয়ু ভাবাই যেত না। কিন্তু উন্নতমানের চিকিত্‍সা এই অসাধ্যও সাধন করেছে।”

Leave a Comment