পর্যাপ্ত পিপিই কীটের অভাবে কেরালে করোনা আক্রান্ত ১৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনার প্রকোপ পড়েছে গোটা দেশ। আক্রান্তের সংখ্যাও বেশ বেড়েছে। এরমধ্যে পিপিই (personal protective equipment) কিটের ঘাটতির জেরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কেরালায় ১৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। বেশকিছুদিন ধরে ফ্রন্টলাইনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর সমীক্ষা চালায়।
সেই সমীক্ষাতেই সামনে আসে যে কেরালে পিপিই-এর বিশাল ঘাটতি রয়েছে। এরফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা তা একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে পারেননি। দ্বিতীয়বার তা গায়ে চড়াতে বাধ্য হয়েছেন। PPE কিটের এই পুনর্ব্যবহারই কেরালার স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদ ডেকে এনেছে। কেরালায় ১৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ কিটের এই পুনর্ব্যবহার। আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আবার এমনও কেউ কেউ আছেন, যাঁরা পিপিই কিট ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেননি। যার ফলে সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন।
কেরালে মোট আক্রান্তের ৪১ শতাংশ চিকিত্সক ও নার্স। ৬০ জন নার্স (২৩ শতাংশ) আক্রান্ত হয়েছেন ডিউটিতে থাকাকালীন। করোনায় ৪৭ জন ডাক্তারও (১৮ শতাংশ) সংক্রামিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জন নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাটেন্ডার। প্যারামেডিক্যাল স্টাফ ৩১ জন। অফিস স্টাফ ৩৮ জন। আক্রান্ত আশাকর্মীর সংখ্যা ৩৪। সবচেয়ে বেশি তিরুবনন্তপুরম জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোভিড পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে।
২০ জুলাইয়ের একটি হিসেব অনুযায়ী, কেরালায় ফ্রন্টলাইনে থাকা ২৬৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। সংক্রামিতদের মধ্যে চিকিত্সক, নার্স, নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, হাউসকিপিং স্টাফ, অ্যাম্বুল্যান্স চালক, হেলথ ইনস্পেক্টর, ফিজিয়োথেরাপিস্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ান এমনকী আশাকর্মীরাও রয়েছেন। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরালায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬১৩।
এমনকি অনেকে ঠিকমতো নিয়ম পালনও করছেন না। ডিউটিতে থাকাকালীন স্বাস্থ্যকর্মীরা দলবেঁধে খেতে বসেন। সেসময় যাথাযথ সুরক্ষা বা পিপিই থাকে না। আবার সোয়াব সংগ্রহের সময় অসাবধানতার কারণে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই।