ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ICMR-এর তথ্যে আশার আলো
নিজস্ব প্রতিবেদন, অতিমারী করোনা ভাইরাসকে খতম করতে কি অ্যান্টিসেরাম ব্যবহার করা হবে? ঠিক যেভাবে টিটেনাস মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে প্রতিষেধক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, কিংবা সাপে কাটা রোগীকে ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনাম’ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসংস্থা আইসিএমআরের একটি তথ্য এই বৈজ্ঞানিক অবস্থানকে আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে।যেভাবে টিটেনাস মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে প্রতিষেধক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেভাবে কি করোনাকেও হারানো যাবে, সেই বিষয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
আইসিএমআরের বক্তব্য, আগে থেকে তৈরি করা কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক আক্রান্ত মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে করোনাকে হারানো যেতে পারে। পদ্ধতি কতকটা প্লাজমা থেরাপির মতোই। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্রুত অ্যান্টিসেরাম বা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক যদি করোনা আক্রান্তের দেহে প্রবেশ করানো যায় তবে মানবদেহ সহজেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে। যেমনভাবে জলাতঙ্ক, হেপাটাইটিস বি অথবা টিটেনাস, বা ডিপথেরিয়ার প্রতিষেধক তৈরি হয়, সেই একই পদ্ধতি মেনে করোনা ভাইরাসকে জব্দ করার এ এক নয়া পদ্ধতি। আইসিএমআরের দাবি, এই গবেষণা সফল হলে দেশের জনস্বাস্থ্যের কল্যাণ হবে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এই ধরনের ভ্যাকসিন তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে। এই গবেষণার ফল কী হবে তা জানতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে উৎপাদনও শুরু হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার, ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মতো বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা ইতিমধ্যে উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ঠিক যেমনভাবে জলাতঙ্ক, হেপাটাইটিস বি অথবা টিটেনাস, বা ডিপথেরিয়ার প্রতিষেধক তৈরি হয় সেই একই পদ্ধতি মেনে করোনা ভাইরাসকে ঘায়েল করার কৌশল এই পদ্ধতি। প্লাজমা থেরাপির ক্ষেত্রেও অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে করোনা মুক্ত ব্যক্তির প্লাজমা প্রবেশ করিয়ে সুস্থ করার ট্রায়াল চলছে। আইসিএমআরের দাবি, এই গবেষণা সফল হলে জনস্বাস্থ্যের নতুন দিক খুলে যাবে।।