গাড়ি শিল্পে মন্দা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই, এরপর করোনা প্রকোপে সেই অটোমোবাইল প্রকল্পে অশনি সংকেত। বিক্রি নেই ,উৎপাদন বন্ধ, শুধুমাত্র গুরুগ্রামের অটোমোবাইল হাবেই কুড়ি থেকে ত্রিশ লক্ষ মানুষ চাকরি খোয়াতে পারেন বলে মনে করছেন শিল্পমহল। ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণতর হতে চলেছে, এবং এমত অবস্থায় যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে অটোমোবাইল সেক্টরে।
সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে অস্থায়ী কর্মীদের ওপর কারণ তাদের ছাঁটাই এর ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই সংস্থাগুলোর, কিন্তু এর মধ্যেই বেশকিছু স্থায়ী কর্মীদেরও ছাঁটাই করেছে অনেক সংস্থা। ইউনিয়ন এইসব শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালেও তারা কার্যত পরিস্থিতির কাছে অসহায়।
গুরুগ্রাম এই হাবই হোলো মারুতি, হিরো, হোন্ডা থেকে শুরু করে অধিকাংশ গাড়ি শিল্পের প্রধান উৎপাদন ক্ষেত্র। এবং এই হাবে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা 60 লক্ষ। আর সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ।
হরিয়ানার বণিকসভার চেয়ারম্যান হারভাজান সিং এর মতে ” অটোমোবাইল শিল্প প্রায় ৫০% সংকুচিত হতে চলেছে এবং তার প্রভাব অবশ্যই কর্মসংস্থানে পড়বে। বিক্রি করলে উৎপাদন কমবে আর উৎপাদন না হলে কর্মীদের উপর পড়বেই, কারণ কর্মীদের বসিয়ে মাইনে দেওয়া সম্ভব নয়”।
তবে শ্রমিক সংগঠনের অনেকের মতেই করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক ছাঁটাই একটি অজুহাত মাত্র, এবং এতে স্থায়ী ও অস্থায়ী দু’ধরনের শ্রমিকের উপরই শোষণ আরো বাড়তে চলেছে।
কিন্তু এই সংকট যে অদূর ভবিষ্যতে কাটার নয় তা এখনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি যদি কাজ করায়, তাহলে ভারতে যেভাবে কাজ হয় তাতে ১০০% কাজ আশা করাটা চাপের। এমনিতেই লকডাউন এর প্রভাবে অনেক মানুষের আয় কমে যাওয়ায় পণ্যভিত্তিক চাহিদাও মার খাচ্ছে। তবে গাড়ি শিল্পের এহেন মন্দা পর্যটন এবং বিমান পরিবহন এর চেয়েও অনেক বেশি উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে।