ফুড পয়জেনিং-এর ঘরোয়া সমাধান

আমরা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি খাবারের ক্ষেত্রে কিন্তু সব সময় খাবার থেকেই যে ফুড পয়জনিং হবে এমন কোনো কথা নেই। যে পাত্রে খেতে দেবেন সে সেটিও জীবাণুমুক্ত হতে হবে, তা নাহলেও ফুড পয়জেনিং হতে পারে। 

বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা ও পেট ভরা ভরা ভাব হয়ে থাকে ফুড পয়জেনিং থেকে। এ ধরণের সমস্যা হলে অনেক সময় অ্যান্টি বায়োটিকও খেতে হয়। আর ফুড পয়জনিং এর কারণে পাতলা মল ও বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

এসব সমস্যার কারণে খাবার স্যালাইন খেতে হয়। এর পাশাপাশি ফুড পয়জনিং এ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। ফুড পয়জেনিং এর ঘরোয়া সমাধারণ সম্পর্কে জেনে নিন-

ফুড পয়জনিং থেকে যদি আপনার পেট ব্যথা করে তাহলে কয়েক টুকরা আদা কুচি নিতে হবে। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু নিতে হবে। তারপর আদা ও মধু একসঙ্গে মেখে খেতে হবে। যা পেট ব্যথা কমতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে। 
 
ফুড পয়জেনিং এর কারণে পেট খারাপ হলে, আর এর সঙ্গে পেট ব্যথা থাকলে জিরা গুঁড়া খেতে পারেন। এর জন্য এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা গুঁড়া ভালো করে গুলে নিতে হবে। তারপর এ জল খেয়ে নিতে হবে। তাতে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

তুলসি পাতার রসও পেটের ইনফেকশনের জন্য খুবই উপকারী। তুলসি পাতা থেঁতো করে মধু মিশিয়ে খেলে পেটের উপকার হয়।

ফুড পয়জনিং কমানোর জন্য খুবই উপকারি হলো কলা। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যে কারণে কলা খেলে ফুড পয়জনিং অনেক কমে যায়। আর কলার সঙ্গে আপেল গ্রেড করে খেতে পারেন। এছাড়া কলার স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।

ডায়রিয়া সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণেই বেশি হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হলে তা আপেল প্রতিরোধ করতে পারে। তাই আপেল নিয়মিত খেলে এ সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও আপেল খেলে এসিডিটির পরিমাণ অনেকটা কমে যায়।
 
আর ফুড পয়জনিং কমানোর আরেকটি উপকারি জিনিস হলো পাতি লেবু। লেবুর এসিডিটি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফুড পয়জনিং এর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে লেবু খুবই উপকারি। একটা গোটা পাতি লেবু নিয়ে রস করতে হবে। এর সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেতে হবে। তাতে ফুড পয়জনিং এর সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। আর যদি ফুড পয়জনিং এর কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

Leave a Comment