করোনায় হার্ড ইমিউনিটি কি নিছক কল্পনা?

প্রতিটি দেশেই সংক্রমনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। জানুয়ারির শুরুতে যখন ইউরোপে করোনা ছড়াতে শুরু করে তখন হার্ড ইমিউনিটির উপর একটি তথ্য সামনে এসেছিল, ব্যাপারটি হলো যদি বেশি সংখ্যায় মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে সেখান থেকে সেরে ওঠেন তাহলে ওই গোষ্ঠীর বাকিদের মধ্যে করোনা থেকে লড়ার জন্য শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তবে সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপত্র ট্রেডার্স অ্যাডেনাম গ্যাব্রিয়াসিস বলেন যে ” এখনো অব্দি হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়ার মত কোন প্রমাণ আমাদের হাতে আসেনি, এই ভাইরাসটি অপেক্ষাকৃত নতুন এবং এটির চরিত্র এখনো পরীক্ষামূলক”। তার মতে ” করোনার অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হওয়ার পর কতোদিন স্থায়ী ভাবে থাকছে তা এখনো জানা যায়নি, এমনকি যেসব দেশে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে সেখান থেকেও এরকম কোন তথ্য আমাদের হাতে আসেনি, তবে একবার করোনার থেকে সেরে ওঠার পর সেই একই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার আক্রান্তের খবর বেশ অনেকবারই পাওয়া গেছে”।

ট্রেডার্স বলেন ” ভারতের আরোগ্যসেতুর মত অ্যাপ ব্যবহার করে সংক্রমনের এলাকাগুলি আমাদের চিহ্নিত করতে হবে, সঠিক চিহ্নিতকরণের মাধ্যমেই করোনাকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব”।

সম্প্রতি আমেরিকার নেভাডার এক যুবকের দু’মাসের মধ্যে করোনায় দুবার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রথমবার ব্যক্তিটির মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ না থাকলেও দ্বিতীয়বার বেশ জটিল উপসর্গ ধরা পড়ে। মনে করা হচ্ছে এটি করোনার দুটি আলাদা স্ট্রেন যা একই ব্যক্তির উপর দুবার আঘাত হেনেছে। এই একই ধরনের খবর বেলজিয়াম,ইকুয়েডর এবং হংকং এর থেকেও পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় আঘাত খেলো জনসন এন্ড জনসন, এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল’ চালাচ্ছিল জনসন এন্ড জনসন। এদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক একটি অজানা রোগে হঠাৎ করে আক্রান্ত হয়ে যান এবং সেই কারণে আপাতত করোনার এই ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালে স্থগিতাদেশ টানা হয়েছে। জনসন এন্ড জনসন এর পক্ষ থেকে জানানো হয় “সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে, এত বড় তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে এরকম কিছু ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক তবে কতৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে”।

Leave a Comment