ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির

ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির

নিজস্ব প্রতিবেদন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির এমন জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল যে ওই নম্বরে হাসপাতালের বেড পাওয়ার সাহায্য চেয়েও ফোন আসত। শিশু থেকে শুরু করে ক্যানসার রোগীর পরিবার, সকলেই ‘দিদি’কে জানাতেই সরকারি সাহায্য পেয়েছেন। সরকারি প্রকল্পে অবহেলা বা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক দলীয় কর্মী, আমলাদেরও ভর্ৎসনা করেছেন। বহু মানুষের কাছে আজও ‘দিদিকে বলোর’ সমান গুরুত্ব রয়েছে।

বছর খানেক আগে মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে রাজ্য জুড়ে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো কর্মসূচি’। লোকসভা ভোটের পর ভোটকুশলী পিকে-র পরামর্শে জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘিরে উৎসাহ দেখা দিয়েছিল দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে। বিরোধী দলের নেতা কর্মীরাও এলাকার অভাব অভিযোগ জানানোর সুযোগ নিয়েছিলেন সেই নম্বরে ফোন করেই। পাশাপাশি গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার শাসকদলের নেতা-কর্মীরা নামে বেনামে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সম্প্রতি এই কর্মসূচির সক্রিয়তা কমেছে। কিন্তু এই কর্মসূচির চাহিদা রয়েছে বলে জানান শাসকদলের নেতারাই।

কর্মসূচির সুফল জেলার মানুষ পেয়েছিলেন জানিয়ে ওই কর্মসূচীর জেলা কো-অর্ডিনেটর অরিত মজুমদার বলেন, “চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচি ততটা সক্রিয় নেই। তবে এখনও ওই ফোন নম্বর সক্রিয় থাকায় অনেক ফোন আসে সাহায্য চেয়ে। এই কর্মসূচি ফের শুরু করলে ভাল হয়। সে কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”দলীয় সূত্রে খবর, এখন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি আর আগের মতো সম্পূর্ণরুপে সক্রিয় নেই। তবে এখনও ওই ফোন নম্বর সক্রিয় থাকায়, প্রতিদিন সাহায্য চেয়ে ফোন করেন বহু সাধারণত মানুষ। দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই মনে করেন যে এই কর্মসূচি পুনরায় শুরু করলে খুবই সফল হবে।

জেলা স্তরের নেতাদের অনেকের মতামত এই যে স্থানীয় নেতাদের দুর্নীতির কথা সরাসরি সরকারি আধিকারিক কিংবা খোদ দিদিকে জানানোর সুযোগ থাকায় লোকসভা ভোটের পরে মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল অনেকটাই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেও যদি এই কর্মসূচি সক্রিয় রাখা যায়, তাহলে এই প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনেও যথেষ্ট লাভবান হবে শাসকদল।

Leave a Comment