ক্রমশ ভারতের এলাকাগুলো নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল
নিজস্ব প্রতিবেদন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নেপাল। আগেই ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত পিথোরাগড়ের লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিমপিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রের অন্তর্গত করে নেপাল।ভারতের এলাকাগুলো নিজেদের দাবি করে আগেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের পরিবেশ তৈরী করে নেপাল।এবার পিথোরাগড়ের লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিমপিয়াধুরায় জনগণনা করার পরিকল্পনা করল নেপাল।
নেপাল ভারতের উক্ত এলাকাগুলি নিজেদের বলে দাবি করেছে স্কুলের পাঠ্যবইতেও। এমনকি নেপালি মুদ্রাতেও এই এলাকাগুলিতে নেপালের অন্তর্গত বলে দবি করে সে দেশের সরকার।জানা গিয়েছে, দশবছর অন্তর যে জনগণনা হয় সেই জনগণনাতেই লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিমপিয়াধুরার কথা তুলবে। উল্লেখ্য, পরবর্তী জনগণনা হওয়ার সময় আগামী বছর মে মাসে।
জনগণনার সময়, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সে দেশের জনসংখ্যা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নেপালের ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স। লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিমপিয়াধুরায় জনগণনা করার সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে কী কী প্রশ্ন করা হবে তাও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে যাদু কি তা করা সম্ভব হবে? না হলে, অন্য কি পদক্ষেপ অবলম্বন করবে তাঁরা, তাও ভেবে রেখেছে।
তবে ভারতের পিথোরাগড় এলাকার লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিমপিয়াধুরা গ্রামের বাসিন্দারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে নেপালি সরকারের জনগণনা তাঁরা নিজেদের এলাকায় বরদাস্ত করবেন না। নেপালের জনগণনায় তাঁদের অংশ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। বুধি গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র বুধিয়াল বলেন, ‘আমরা ভারতের নাগরিক। নেপালি সরকারের জনগণনায় আমরা কেন অংশ নেব?’
বাড়ি বাড়ি ঘুরে সে দেশের জনসংখ্যা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নেপালের ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স। লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিমপিয়াধুরায় জনগণনা করার সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে কী কী প্রশ্ন করা হবে তাও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই সব এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনগণনা করা সম্ভব না হলে আর কী ভাবে সেখানে জনগণনা করা যায়, সেই বিষয়েও নেপাল সরকার ভাবনাচিন্তা করে রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।
কালাপানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন বহু দশকের পুরনো বলে জানিয়েছে নেপাল। উল্লেখ্য, গত বছর প্রকাশ করা ভারতীয় মানচিত্রে কালাপানি ভারতীয় সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানো হয়। সেই মানচিত্রের বিরোধিতা করে নেপাল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির দাবি, ১৯৬২-র আগে পর্যন্ত কালাপানির দখল নেপালের হাতে ছিল।