পরীক্ষার্থীদের জন্য সুখবর, পুজোয় হচ্ছে না নেট পরীক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা আবহের মধ্যে পুজোর মধ্যে নেট পরীক্ষা। জানা গিয়েছিল, কেন্দ্র ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ দুর্গাপুজোর পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী তিথিতে নেট পরীক্ষা রেখেছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। তারপরই রাজ্যসভায় দলের তরফে জমা দেওয়া নোটিসে বলা হয়েছে, “দুর্গাপুজো প্রত্যেক বাঙালির অন্যতম উৎসব। দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক উৎসব বললেও ভুল হবে না। এই সময় প্রত্যেক মানুষ উৎসবের মেজাজে থাকেন। এছাড়া পুজোর সময় রাস্তায় যানবাহন যেমন বেশি থাকে, ঠিক তেমনই মানুষের ভিড়ও বেশি থাকে। তার ফলে পরীক্ষার্থীদের স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতেই পারে। তাই এই সময় নেট পরীক্ষা স্থগিত রাখা হোক। দুর্গাপুজোর পরিবর্তে অন্য কোনওদিন পরীক্ষা নেওয়া হোক।”
দুর্গাপুজোয় নেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করেছিল ইউজিসি। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছেন বাংলার রাজনৈতিক মহল। শেষে চাপে পড়ে পরীক্ষার দিন বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল শিক্ষামন্ত্রক। শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর সময় নিট পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন পরীক্ষার দিন পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।রবিবার সংসদের অধিবেশনের জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন দীনেশ। তিনি রাজ্যসভায় বলেন, “বাঙালি জীবনের সব চেয়ে বড়ো উৎসব দুর্গাপুজো। সেই সময় পরীক্ষার দিনক্ষণ পড়লে তা পরীক্ষার্থী তো বটেই, সাধারণ নাগরিকরাও অসুবিধায় পড়বে।” কেন্দ্র যাতে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় ভাবে, এই আবেদনও করেন দীনেশ।
সোমবার দীনেশ জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, পুজোর সময় ‘নেট’ হবে না। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দীনেশ এ দিন বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের উপস্থিতিতেই আমি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, নেট কি সেই দুর্গাপুজোর সময়েই হচ্ছে? তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, পরীক্ষা পুজোর মধ্যে হবে না।”
এ ব্যাপারে আজ তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর, সব দিক বিবেচনা করে পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ ঠিক করার পর তা জানিয়ে দেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।এরআগে কেন্দ্রীয় জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা নিয়ে দেশজুড়ে জলঘোলা কিছু কম হয়নি।নেট পরীক্ষা নিয়ে যুব কংগ্রেস নেতা রোহন মিত্র ট্যুইটারে লেখেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির পরীক্ষাসূচিতেও বাংলা ও বাঙালির প্রতি বৈষম্য! শারদীয়া উৎসব তো কেবল বিশেষ ধর্মের বেড়াজালে আটকে নেই। শারদীয়া উৎসব তো বাঙালির প্রাণের উৎসব। সেই উৎসবের দিনগুলোতে পরীক্ষা রাখার কী মানে?”