পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকা নিয়ে উত্তেজনায় এখনো তুঙ্গে। চীনা কমান্ডারদের সঙ্গে অনেক আলোচনা হলেও তাদের কথা এবং কাজে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। চীনের সঙ্গে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত, কিন্তু সেটা যদি ফলপ্রসূ না হয় তাহলে দিল্লির পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা নির্ভর করছে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারবনের রিপোর্টের ওপর। পাশাপাশি চিফ-অফ-ডিফেন্স -স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও বিমান এবং নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গেও আলোচনা চালানো হচ্ছে।
গত দুদিন লাদাখের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন ভারতের সেনাপ্রধান, তার মধ্যে নবরা -সহ রয়েছে সীমান্তের বেশ কিছু ফরোয়ার্ড পোস্ট। এছাড়া ইন্ডো টিবেটান বর্ডার পুলিশ এর সাহায্যে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল এর ৬৫ টি স্থানে পেট্রোলিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
বস্তুত চীনের আগ্রাসন নীতি দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব দের কাছে তুলে ধরাই সেনাপ্রধানের মূল উদ্দেশ্য, লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে গোটা দেশ যেরকম সরগরম হয়ে রয়েছে তার মধ্যে এমন একটি যাত্রা বেশ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। চীন নিজের অবস্থান থেকে ভারতের দিকে আরো ঢুকে এলে সে সময় পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হবে সেই সম্পর্কেও ব্যাখ্যা দিতে পারেন নরবনে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এর সঙ্গে উনি সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগে আছেন, এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আছেন এই মুহূর্তে রাশিয়ায় তাই সেনাপ্রধান নিজের মূল্যায়ন প্রধানমন্ত্রীকেও জানাতে পারেন।
১৫ ই জুন রাত্রে দু’দেশের বাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারপর থেকে কোর কমান্ডার লেভেল, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অনেক ধরনের কথাবার্তাই দু’দেশের মধ্যে হয়েছে। তবে গত ২২ শে জুন দু’দেশের কমান্ডারেরা ঠিক করেছিল যে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসবে কিন্তু গালওয়ান উপত্যকার স্যাটেলাইট ইমেজ অবশ্য অন্য কথাই বলছে, উপগ্রহ মারফত তোলা ওই ছবিগুলোতে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি গলওয়ান উপত্যকায় বড়োসড়ো নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। বস্তুত তারা যে ভারতের সাথে সমঝোতা হওয়া কথার দিকে কর্ণপাত করছে না সেটা বলাই বাহুল্য।