সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ইউরোপ। ইউরোপের সমস্ত বড় শহর কার্যত লকডাউনের পথে হাঁটছে। রোম থেকে মিলান, প্যারিস থেকে লন্ডন সর্বত্রই করোনার ত্রাহি রব। এরমধ্যে ফরাসি বিজ্ঞানী অনোর্ড ফন্টানেট তার গবেষণায় দাবি করলেন যে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় সংক্রমণ গতি প্রথমটির তুলনায় অনেক বেশি।
শুক্রবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে ফ্রান্স করোনার প্রথম সংক্রমণ প্রায় দমিয়ে দিতে পেরেছিল, অগাস্ট নাগাদ করোনা পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে চলে এসেছিল, খুলে গিয়েছিল অর্থনীতি, ব্যবসা, এবং স্কুল কলেজ। কিন্তু সেপ্টেম্বরে হালকা ঠান্ডা পড়তেই সংক্রমণ গতি বাড়তে থাকে। ফন্টানেট জানাচ্ছেন “এবারের সংক্রমণ গতি আগের বারের থেকে অনেক গুন বেশি, আমাদের ভবিষৎ যথেষ্ট উদ্বেগজনক “।
ফ্রান্সের প্যারিসে ইতিমধ্যেই চলছে আংশিক লকডাউন। কতৃপক্ষ তৈরী হচ্ছে করোনার মার থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে তারা পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তৈরী। অবশ্য ইতিমধ্যেই সেদেশের হসপিটালের আইসিইউ ইউনিটগুলি ভরেগিয়েছে।
জন হপকিনসের রিপোর্ট অনুযায়ী ফ্রান্সে এই মুহূর্তে সংক্রমিত প্রায় ১০ লক্ষ। তবে নভেম্বরে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে স্পেনের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ, গত সপ্তাহে স্পেনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিক। জার্মানিতেও দৈনিক সংক্রমণ ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডেও আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। এদিকে ব্রিটেনেও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ সংখ্যা, সে দেশে ৬ জনের বেশি জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার সাথেই চলছে আংশিক লকডাউন।