কড়াকড়ি বাড়লো ফ্রান্সে

লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে পৌঁছেছিল ইউরোপের দেশ গুলি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়ছিল ভিড়, সেইসঙ্গে ভিড় জমে ছিল রাস্তার পাশের রেস্তোরা, পাবগুলিতেও। কিন্তু করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ ফ্রান্সকে আবার লকডাউন এর পথে নিয়ে চলল। কিছুদিন আগেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউনের বিরুদ্ধে নাগরিকেরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, তাদের কথায় করোনা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা এবং আদৌ নাকি এর কোন অস্তিত্ব নেই।

উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে ফ্রান্স আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে। আগামী শনিবার থেকে দেশের জনবহুল পর্যটনস্থল গুলি আংশিকভাবে বন্ধ রাখা হবে। ইতিমধ্যেই ফাঁকা আইফেল টাওয়ার চত্বর, এমনকি ঐতিহাসিক লুভর মিউজিয়াম এর সামনেও ভীড় প্রায় নেই বললেই চলে। আগামী শনিবার থেকেই ফ্রান্সের প্যারিস, লিও, মার্সেই সহ মোট নয়টি শহরে জারি করা হচ্ছে কার্ফু। দিনের বেলা জরুরি পরিষেবার জন্য শহরগুলি খোলা থাকলেও রাত ন’টা থেকে সকাল ছটা অবদি থাকবে সম্পূর্ণ লকডাউন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন ” যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আমাদের কিছু করার নেই, লকডাউনই একমাত্র পথ”। আগামী ৬ মাস এই একই নিয়ম বহাল থাকার কথা ফ্রান্সের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জার্মানিতেও জারি করা হয়েছে কড়া আইন। সেদেশের চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেন ” আমরা এখন যা করব সেটাই আমাদের বলে দেবে যে আমরা এই অতিমারির পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব কিনা”। ইউরোপের মধ্যে এই মুহূর্তে সবথেকে বাজে অবস্থায় রয়েছে স্পেন। সেদেশে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৯ লক্ষ, এবং প্রায় ৩৪ হাজার নাগরিক করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। রাজধানী মাদ্রিদে ঘোষণা করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন।

ইটালিও একই অবস্থায়। সে দেশের রাজধানী রোমে ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম পার্টি, ফুটবল ম্যাচ, রেস্তোরাঁ এবং পাব সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনে একসাথে ছয় জনের বেশি জামায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লকডাউনে কাজ হারালে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ পাউন্ডের অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে।

Leave a Comment