শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমি জবরদখল, ইদগাহ সরাতে মথুরায় দায়ের দেওয়ানি মামলা

শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমি জবরদখল, ইদগাহ সরাতে মথুরায় দায়ের দেওয়ানি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদন, এবার মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের মন্দির চত্বরের পাশ থেকে ইদগাহ সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দায়ের হল মামলা৷ মথুরায় রয়েছে সেই শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, যেখানে কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন আর তাঁর দর্শনে বহু দর্শনার্থী সেখানে ভিড় করেন। সেই শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অদূরে অবস্থিত শাহি ইদগাহ সরিয়ে নেওয়ার আর্জি। দেওয়ানি মামলা দায়ের হল। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের তরফে মথুরা সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জাজের আদালতে সেই মামলা করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে লখনউয়ের এক বাসিন্দা।

রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি পুনরুদ্ধাদের দাবি জানিয়েছে। দাবি, কয়েকজন মুসলিমের সহায়তায় ট্রাস্ট এবং একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্ট ও শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের জমি জবরদখল করে। আর সেই কাঠামোর নীচেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। তাই সেই জমি ফেরত চান তাঁরা। এই মামলায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহি ইদগাহ ট্রাস্ট্রের পরিচালন সমিতির কমিটি বিবাদী পক্ষ হয়েছে।যদিও ১৯৯১ সালে পাশ হওয়া ধর্মীয় স্থানের আইনে (স্পেশাল প্রভিশন অ্যাক্ট) অনুযায়ী কোনও মন্দিরকে মসজিদে বদলে বা উল্টোটা করাও নিষিদ্ধ৷ একমাত্র অযোধ্যার রাম জন্মভূমির বিতর্কিত জমিটিকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছিল৷

মামলাকারীর তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান বিতর্কিত ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য ইদগাহ ট্রাস্টের সঙ্গে বেআইনি সমঝোতা করেছিল৷ মামলার হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান মন্দির এবং ভক্তদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ১৯৬৮ সালে মসজিদ ইদগাহ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ট্রাস্টের সঙ্গে বেআইনিভাবে আপোস করে৷ যার ফলে মন্দিরের সম্পত্তির একটা বড় অংশ হাতছাড়া হয়৷’ ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই এই সংক্রান্ত এই মামলায় রায়ও দিয়েছিল মথুরার ফৌজদারি বিচারক৷ নতুন মামলায় সেই রায় বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে৷

Leave a Comment