ভয়ানক বন্যার কবলে পড়ল ভিয়েতনাম। এখনো পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী মারা গিয়েছেন প্রায় ১০৫ জন তবে সংখ্যাটি বাড়তে পারে কারণ এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি নিখোঁজ। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বন্যার ফলে মধ্য ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। মধ্য ভিয়েতনামের বেশ কিছু এলাকা একেবারে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে অনেকেই ভিয়েতনামের সেনা কর্মী। নিখোঁজদের মধ্যেও বেশ কিছু সেনা জওয়ান রয়েছে। প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ গৃহপালিত পশুর। স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনা ছাড়াও উদ্ধারকার্যে নেমেছে ভিয়েতনামের রেডক্রস সোসাইটি, তাদের মুখপাত্র নুগেন থি সুয়ান এর মতে এত ভয়ানক বন্যা ভিয়েতনাম এর আগে কখনো দেখেনি, তিনি বলেন “করোনা মহামারীর জেরে দেশের অবস্থা খারাপ ছিলই, এই বন্যা হওয়ার ফলে মানুষকে আরও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে”। আপাতত আকাশপথে এবং জলপথে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির ফলে উদ্ধারকার্য যথেষ্টভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিধ্বস্ত মানুষদের জন্য পানীয় জল এবং উপযুক্ত ওষুধ পৌঁছে দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শনিবার থেকে আরো ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করছে ভিয়েতনাম প্রশাসন ফলে পরিস্থিতি আরো বিগড়োতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিয়েতনামের আবহাওয়া দপ্তর এর মতে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এত খারাপ বন্যা পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেনি ভিয়েতনাম, রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টির ফলেই হয়েছে বন্যা। সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হলেও দুর্গতদের কাছে সাহায্য কতদিনে পৌঁছাবে সেটাই আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।