নৌকায় চলছিল মদ্যপান, মুর্শিদাবাদে বিসর্জনের সময় নৌকা ডুবে প্রাণ হারাল ৫ জন
নিজস্ব প্রতিবেদন, বিসর্জনের সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! গতকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় নৌকাডুবিতে পাঁচ জন মারা জান। তবে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য আসল সেই ঘটনায়। মদ্যপ ছিলেন যাত্রীরা, নৌকোয় উঠেই মাঝির সঙ্গে শুরু হয় বাঁশ নিয়ে কাড়াকাড়ি। অভিযোগ দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন করতে এসে ডুবে যাওয়া নৌকোর এক মাঝি। ওই মাঝি বলেন, ভারসাম্য রাখতে নৌকোর দুদিকে ভাগ করে বসতে বলায়, ঝামেলা শুরু করে তারা। যাত্রীদের দাবি, তারা নৌকো ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে, তাহলে মাঝির কথা শুনবে কেন? নৌকোয় বসেও চলছিল মদ্যপান। তারপর মাঝির হাত থেকে বাঁশ কেড়ে নিয়ে সরিয়ে দেয় তারা।
ওই যাত্রীদের দাবি ছিল যে তারা ভাড়া দিয়ে নৌকায় উঠেছে ফলে মাঝির কথা শোনার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনটাই দাবি করেছেন ওই ডুবে যাওয়া নৌকার উদ্ধার হওয়া এক মাঝি। তিনি আরো বলেন যে, ” একদিকে বেশি লোক জড়ো হওয়ায়, নৌকা সেইদিকে কাত হয়ে উল্টে যায়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। ৪০ বছর ধরে নৌকো চালাচ্ছি, কোনওদিন এমনটা হয়নি। ” বেলডাঙায় হাজরা বাড়ির পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো। এই পরিবারের ঠাকুর প্রতিবছরই ডুমনিদহ বিলে বিসর্জন হয়। এবারও সেই ভাবেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এলাকার প্রচলিত রীতি অনুযায়ী হাজরা পরিবারের প্রতিমা বিসর্জনের পরেই এলাকার বাকি প্রতিমার নিরঞ্জন সম্পন্ন হয়।
উলেক্ষ যে, গতকাল অর্থাৎ দশমিতে বিসর্জনের সময় দুটি নৌকা উল্টে গিয়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের। ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। গতকাল বিকেলে বেলডাঙার বিলে পাশাপাশি ২টি নৌকা থেকে বিসর্জনের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিমার কাঠামোর তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। কিন্তু মাঝির দাবি শুনে আরো খুঁটিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তল্লাশির পর সোমবার রাতে যদিও প্রথমে চার জনকে পাওয়া যায় অচৈতন্য অবস্থায়। বেলডাঙা ব্লক গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ মৃতদের পরিচয় জানিয়েছে। তাঁরা হলে, সুখেন্দু দে (২১), পিনকন পাল ( ২৩), অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় (২০) , সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (২২), নিপন হাজরা( ৩৭)। মৃতরা প্রত্যেকে এক পরিবারের বলেই জানা গিয়েছে।