গত বছর ঠিক উৎসবের পরেই টিভিতে এক নতুন খবর টুক টাক শোনা যাচ্ছিলো। একটা নাকি নতুন ভাইরাস এসেছে চীন দেশে যা কিনা প্রানঘাতি। চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবরও আসছিলো ঘন ঘন। ধীরে ইউরোপ, আমেরিকা সহ অনান্য দেশ ঘুলিতেও একই খবর শোনা যায়। টিভির হেডলাইনে শুধু একটাই নাম কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস। মার্চ মাস পরতেই ভারত অথা সমস্ত দেশে শুধু মৃত্যু মিছিল দেখা শুরু হয়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জনজীবন। থমকে যায় পুরো বিশ্ব। সকলে হয় লকডাউনে গৃহবন্দী। গড়িয়ে গেলো প্রায় একটা বছর। এখনো আসেনি টীকা, চলছে লড়াই। অনেকটা অবস্থার উন্নতি হলেও সমহারেই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। আবার শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মনে একটাই ভাবনা এবছর শীতে কি হারানো যাবে এই ফ্লু কে? নাকি বেড়েই চলবে এর মাত্রা। এমনিতেই শীত মানেই জ্বর-সর্দির মরশুম। তার ওপর করোনার প্রভাব বিশেষ ভাবে পড়ে শ্বাসনালীর ওপর। তাই শীতে কিরূপ ধারণ করবে তা নিয়েই মরিয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁদের মতে নিজেকেই তৈরি করতে হবে নিজের রক্ষাকবচ।
শরীরচর্চা – শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয় শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করতেও সাহায্য করে ব্যায়াম। শরীরচর্চা আমাদের অনেকটাই সর্দি-কাশি, ফ্লু এর হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তবে বেশি সময়ের দরকার নেই। ৩০ মিনিট ব্যায়াম ও কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ হতে পারে আপনার শরীরের রক্ষাকবচ।
খাওয়া-দাওয়া – ভালো খাদ্যাভ্যাস ই হতে পারে ভাইরাসের সাথে লড়াইয়ের শক্তি। প্যাকেটজাত খাবার বাদ দিয়ে শাক-সবজি, ফল-মূল, দুধ, ডিম জাতীয় খাবারে পেট ভরান। ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখুন পাতে। এছাড়াও ঠান্ডা লাগা এড়াতে মধু-তুলসির রস, চবনপ্রাশ, গোলমরিচ,আদার রস জলে ফুটিয়ে খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুম- রাতের ঘুমে যেন কোন খামতি না থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের আট ঘন্টা ঘুমের দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম শরীর মনকে সুস্থ রাখে। ঘুম না হলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় তার থেকেও নানা রোগের সূত্রপাত হয় আবার শরীরেও হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরচর্চা ও প্রপার খাওয়া – দাওয়ার সাথে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যাবশ্যক। তাতেই হবে করোনা কাবু।