ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে ‘ফেসবুক‘
নিজস্ব প্রতিবেদন, ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়ে এবার প্রশ্ন ওঠা শুরু করল ফেসবুকের অন্দরেও। জুকারবার্গের সংস্থার কর্মীদেরই একাংশের দাবি, ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল।সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি, ফেসবুকের ১১ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মী ভারতে সংস্থার পলিসি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন।
তাঁদের দাবি, আরও বহু কর্মী জানতে চায় ঘৃণা ছড়ানো রুখতে সংস্থা কী কী পদক্ষেপ করেছে।ঠিক সেই মুহূর্তেই বিখ্যাত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন বিজেপি নেতাদের হিংসাত্মক বক্তব্য ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে বেশি করে তুলে ধরছে। এই অভিযোগের পরই ফেসবুক এবং বিজেপির এই ‘সুসম্পর্ক’ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারাদেশে। রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, শাসকদল ফেসবুককে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। কংগ্রেস এমপি শশী থারুর এই নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
ভারতীয় রাজনীতি যখন এসব অভিযোগ নিয়ে সরগরম। তখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সংস্থার অন্দরেই। রয়টার্সের দাবি অনুযায়ী, সংস্থার ১১ জন কর্মীর লেখা চিঠিতে স্পষ্টতই কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংস্থার উচিত মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়টিতে আলোকপাত করা এবং তা বন্ধ করা। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতে ফেসবুকের পলিসি টিমে যেন সব শ্রেণির মানুষকে সুযোগ দেওয়া হয়। চিঠির মাধ্যমে কর্মীরা বলছেন,”আমরা অত্যন্ত বিরক্ত এবং এই ধরনের খবরে স্তব্ধ। আমরা শুধু একা নই, আমরা জানি গোটা বিশ্বের কর্মীরাই আমাদের মতোই ভাবছেন।”
এই আলোচনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ আমেরিকার নির্বাচনেও ফেসবুকের হাত ছিল বলে এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল। নিজস্ব অ্যালগরিদম ব্যবহার করে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা কিভাবে মানুষের মনে প্রভাব ফেলছে তা বিভিন্ন আলোচনায় উঠে এসেছে। কারণে আমেরিকার ন্যাশনাল কংগ্রেসের মার্ক জুকারবার্গকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ফের ভারতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মতবাদ প্রচার করা নিয়ে কাঠগড়ায় ফেসবুক। কারণেই সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে এই আলোচনায় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।