অতিমারী করোনা ধীরে ধীরে বাঘ থেকে বেড়ালের রূপ নিচ্ছে, দাবি বিশেষজ্ঞদের
নিজস্ব প্রতিবেদন, চিন থেকে উৎপত্তি অতিমারী করোনা ভাইরাস আজ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বাড়ছে। কিন্তু মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। সাথে সুস্থের হারও বেড়েছে। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেক বিজ্ঞানীরাই মনে করছেন, এবার হয়তো দেশ ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত হবে। কারণ জীবাণুর শক্তি দ্রুত কমছে। শুরুতে করোনা যতটা ঘাতক ছিল, এখন তেমন নেই।
ইতালির বিখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মেটিও বাশেট্টি বলেছেন, মার্চ-এপ্রিলে এই করোনা ভাইরাস ছিল জঙ্গলে একা বাঘের মত। কিন্তু এখন তা রূপ নিয়েছে বেড়ালের মতো। যেখানে ৬০ বছরে উর্দ্ধে কারোর করোনা হলে মৃত্যুর ভয় ছিল, সেখানে ৮০-৯০ বছরের বৃদ্ধরাও ভেন্টিলেটর ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠছেন।কিন্তু প্রথমদিকে দেখা গিয়েছিল, এঁরা ২-৩ দিনের বেশি বাঁচতেন না। এখন মিউটেশনের ফলে ফুসফুসের আর তেমন ক্ষতি করতে পারছে না করোনা জীবাণু। আরএনএ ভাইরাস অনেক সময় নিজের পুরো জেনোমের কপি করতে পারে না, কিছুটা বাদ যায়। এই ভাইরাসের মিউটেশনে ভাইরাস নিজের গতি বাড়ায় ঠিকই কিন্তু বেশি মিউটেশনের ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে ও সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা কমে যায়।
করোনার জীবাণু ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে, এমনটা দাবি করছেন দিল্লির সঞ্জয় গাঁধী আয়ুর্বিজ্ঞান সংস্থানের মলিকিউলার মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যারক মদন মোহন গোডবোলেও। তিনি বলেন, করোনা দুর্বল ভাইরাস ছিল, কারণ দুর্বল ভাইরাসই বেশি মানুষের মধ্যে ছড়ায়। আর শক্তিশালী ভাইরাস কম মানুষের মধ্যে ছড়ায়। আর কিছুদিন পর মানুষের মধ্যেই এই ভাইরাসকে মারার এন্টিবডি তৈরী হয়ে যাবে। তাই সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা ৪৭,০০০-এর বেশি। সুস্থ হয়েছেন ১৬,৯৫,৯৮২ জন। মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ১.৯৬ শতাংশ।