একাধিক ছবি মুক্তিতে বাধা

ইউরোপ এবং আমেরিকায় আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ। নিউইর্য়কে সংক্রমণের হার আবার ঊর্ধ্বমুখী, সেখানকার প্রশাসন নিউইয়র্ক এর নটি অঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছে। এদিকে বৃটেনের অবস্থাও তথৈবচ। কিছুদিন আগে অব্দিও সেখানকার লোকজনেরা লকডাউনের বিরুদ্ধ বিরোধিতা দেখাচ্ছিলো, নাগরিকেরা বলছিল যে তাদের করোনা ভ্যাকসিনের বদলে চাই রাস্তায় ঘোরার স্বাধীনতা।

ইউরোপ এবং আমেরিকায় সংক্রমণের হার কিছুটা কমার পর খুলে দেওয়া হয়েছিল প্রেক্ষাগৃহ এবং অন্যান্য ব্যবসার জায়গা কিন্তু আবার নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার জন্য বন্ধ করতে হচ্ছে মাল্টিপ্লেক্সগুলি।

একাধিক হলিউড সিনেমা আপাতত রিলিজ করা হচ্ছে না। জেমস বন্ডের “নো টাইম টু ডাই” এর সাথে “ব্ল্যাক উইডো”, ” দা ব্যাটম্যান” এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এরমধ্যে মাল্টিপ্লেক্স গুলো আবার খুললে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

আমেরিকা এবং ইউরোপের যে কয়টি অঞ্চলে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে, সেই অঞ্চল গুলির সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। নিউইয়র্ক এর নটি ইহুদি অধ্যুষিত এলাকায় সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ক্যানসস, নেব্রাস্কা নিউ হ্যাম্পশায়ার, কেনটাকি, মিনেসোটা, মন্টানা ইত্যাদি অঞ্চলগুলির অবস্থাও বেশ খারাপ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমেরিকায় দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা আবার ৫০ হাজার পার করতে পারে।

ব্রিটেনের ইতিমধ্যেই বেশ কিছু করা আইন প্রণীত করেছে যেমন একসাথে একই জায়গায় ছয় জনের বেশী মানুষ জমায়েত হতে পারবেন না, মুখে মাস্ক পড়েই রাস্তায় বেরোতে হবে, রাত দশটার পর রেস্তোরাঁ,পাব সমস্ত বন্ধ রাখতে হবে ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান ” আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্যই কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি, আমার বিশ্বাস এতে সংক্রমণের হার কমবে, এবং যতদিনে না ভ্যাকসিন আসছে আমাদের এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে”।

স্পেন ইতিমধ্যেই লকডাউন শুরু করেছে। ফ্রান্স ও লকডাউন এর দিকে হাটার ইঙ্গিত দিয়েছে। সব মিলে আবার সম্পূর্ণ লকডাউন এর দিকে হাঁটছে গোটা ইউরোপ।

Leave a Comment