গঙ্গাতেই ডলফিন সাফারি

ডলফিন দেখতে আর দূরে কোথাও নয়। গঙ্গাতেই হবে এবার ডলফিন সাফারি। ভারতবর্ষে এই প্রথমবার ডলফিন সাফারি লঞ্চ হয়েছে। গঙ্গা দিবস উপলক্ষে ৫ই অক্টোবর বিজনরের হরিদেবপুর ওয়াটারল্যান্ডে ডলফিন সাফারিটির উদ্বোধন করা হয়েছে।

ডলফিন (Dolphin)। শব্দের উৎপত্তি গ্রিস থেকে। সেই সুবাধে যদি অর্থ করা যায় তাতে মানে দাঁড়ায়, ‘গর্ভ যুক্ত মাছ’। সুস্বাদু জলের রাজত্বে নিজের মতো থাকে ডলফিনরা। মসৃণ ত্বকে সূর্যের আলো যখন পিছল খায় তা আরও চকচকে হয়ে ওঠে। দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে অল্পক্ষণের জন্যই। চোখের পলকেই ফের জলের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। সাধারণত সমুদ্রের জলেই দেখা যায় ডলফিনদের। তবে গঙ্গার জলেও রয়েছে এদের অবাধ বিচরণ। সংখ্যায় কম হলেও গঙ্গা ডলফিনদের দেখা মেলে কাল বিশেষে। তবে এবার ইচ্ছে হলেও জলজ এই প্রাণীগুলির দেখা পেতে পারেন। তাও আবার নিজের রাজ্যের গঙ্গার বুকে। ব্যান্ডেলের মতো চেনা জায়গায়।

সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়াররা পর্যটকদের নৌকায় করে ডলফিন ও ঘড়িয়াল দেখতে নিয়ে যাবেন। নয়া প্রকল্পের নাম মাই গঙ্গা, মাই ডলফিন। বিজনর থেকে বুলন্দশহরের নারোরা ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ডলফিন গণনাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব রঞ্জন মিশ্র। বর্তমানে হস্তিনাপুর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকেন্দ্রে ৩৬টি ডলফিন আছে। বিজনর, আমরোহা, মিরাট, মুজাফফরপুর ও হাপুর এই ৫টি জেলার সমন্বয়ে তৈরি হস্তিনাপুর সংরক্ষণকেন্দ্র। বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ ও পর্যটনশিল্পের কথা মাথায় রেখে দেশের ৬টি জায়গায় এই উদ্যোগ দিয়েছে এনএমসিজি। পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ডেল, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, বারাণসী, বিহারের কহলগাঁওর নাম রয়েছে সেই তালিকায়।

Leave a Comment