কিছুদিন আগে লাদাখে ভারত চীন সীমান্তে হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যাওয়াতে চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। নাম না নিয়ে পরোক্ষভাবে চীনকে দেওয়া হয়েছিল করা বার্তা, ১৫ ই জুন এর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভারতের শহীদ জাওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, এবং সীমান্ত থেকেই ঘোষণা করেছিলেন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে শত্রুর হাত গুড়িয়ে দেওয়া হবে। আজ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আবার সেই লাদাখে গিয়েই চীনের প্রতি আর একহাত নিলেন।
কোর কমান্ডার লেভেলের বৈঠকের পর ভারত-চীন সীমান্তে আগের থেকে কিছুটা হলেও উত্তেজনা কমেছে, কিন্তু এখনো বিরোধ রয়েছে প্যাংগং এলাকা নিয়ে। এদিন রাজনাথ সিং বলেন ” প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, ভারত তার এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়”। তিনি আরো বলেন ” আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু সেটা কতটা মিটবে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে পৃথিবীর যেকোন দেশ যত শক্তিশালী হোক না কেন, ভারত তার এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না”। গলওয়ানে মৃত ভারতীয় শহীদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ভারত এবং চীন দু’পক্ষই সীমান্ত বরাবর নিজেদের সেনার পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছে, আর তার সাথে বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিমান এবং মিসাইলের সংখ্যা। দুদিনের সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের লাদাখের বেশ কিছু ফরোয়ার্ড পোস্ট ঘুরে দেখার কথা। লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে মোতায়ন রয়েছে ইন্ডো টিবেটান বর্ডার পুলিশ ফোর্স।
এদিন রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গী ছিলেন সেনাপ্রধান এম এম নরবনে। লাদাখ সফর শেষে রাজনাথ সিং পাড়ি দেবেন জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে, সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় জন্য।
পরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের লাদাখ সফরে চীনের প্রতি যে একটা কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে সেটা বলাই বাহুল্য। এছাড়া রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল থেকেও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইজরাইল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সহ বেশ কিছু দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রতি মুহূর্তে ভারতকে সমর্থন করে চলেছে।