দীঘা থেকে আর মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে আমপান।
এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে আর মাত্র ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে আমপান। আন্দাজ করা যাচ্ছে স্থলভাগের আছড়ে পড়ার সময় আমপানের গতিবেগ হবে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়, যদিও গতিবেগ ১৮৫ কিলোমিটারও ছাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রবল জলোচ্ছাসেরও সম্ভাবনা আছে।
আমপান মোকাবিলায় সুন্দরবন এলাকায় এক ব্যাটালিয়ন বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। দিঘা কাঁথি এবং খেজুরি সহ নন্দীগ্রামের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং কোস্টাল পুলিশের টহলদারি চালানো হচ্ছে সেই সঙ্গে মাইকিং চলছে। শংকরপুর ও তাজপুরের মাঝে বেশ কয়েকটি জায়গায় সমুদ্র বাধ দুর্বল হয়ে পড়ায় সেচ দপ্তর কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর মতে ঝড়ের তান্ডব এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দুই ২৪ পরগনা এবং তারপর কলকাতা। এরমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা কাকদ্বীপ, নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ এ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। মৎস্যজীবীদের একুশে মে এর আগে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। গাছ এবং পুরনো বাড়ি নিয়ে অতিরিক্ত সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার এবং হাওড়া হুগলি তে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গতিবেগ ১৬৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ও হতে পারে। ঝড়ের সাথে বৃষ্টিপাতের দরুন বেশ কিছু জায়গা প্লাবিত হওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমপানের এই মুহূর্তে কিছুটা শক্তি হ্রাস পেলেও সেটি এখনো এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হওয়ার সময় এটির অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিকে থাকলেও এখন তা বাক নিয়ে সরাসরি রাজ্যের দিকে থেকে আসছে। আপাতত যা গতিপথ আছে তাতে মনে করা হচ্ছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ এবং সুন্দরবন এলাকা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমপানের জন্য।