বেশ কয়েকদিন আগেই লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির জীবাণুবিদেরা শুরু করেছিলেন গবেষণা এই নতুন ভাইরাস কোভিড – ১৯ কে নিয়ে এবং তাদের দাবি অনুযায়ী প্রাথমিক পরীক্ষার পর তারা এখন মানব শরীরে সেটা পরীক্ষা করতে শুরু করেছেন।
ইংল্যান্ডের আরেক জীবাণুবিদ এলিসা গ্রানাটো সর্ব প্রথম এই ভ্যাকসিনটি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নেন। অক্সফোর্ড এবং সাউথাম্পটন অঞ্চলে হিউমান ট্রায়াল চলবে এবং তার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবক কে। অংশগ্রহণকারী দের দুই দলে ভাগ করা হচ্ছে, একভাগ কে কোভিড – ১৯ এবং আরেকদলকে দেওয়া হবে মেনিনজাইটিসের টিকা এবং তাদের পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। বিজ্ঞানীদের আশা পরীক্ষা সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলবে প্রতিষেধক।
অক্সফোর্ডের তৈরী এই ভ্যাকসিনটির নাম চাডক্স ১। এটি একটি এডিনো ভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন, এডেনো ভাইরাস একটি সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির ভাইরাস যা শিম্পাঞ্জিদের থেকে তৈরী হয়। ভেক্টর ভ্যাকসিন হোলো এমন একটি প্রতিষেধক যাতে ক্ষতিকর ভাইরাসটির নিউক্লিক অ্যাসিড একটি বাহক মাইক্রোবের সাহায্যে মানব দেহে প্রবেশ করানো হয়, দেহে ঢুকে তারা খারাপ ভাইরাসটির নিউক্লিক অ্যাসিডের সাথে মিশে কিছু প্রোটিন তৈরী করে শরীরকে বোঝায় যে খারাপ ভাইরাসটি আমাদের আক্রমণ করেছে, এবং এই আক্রমণ ঠেকাতে আমাদের শরীর এন্টিবডি তৈরী করা শুরু করে দেয়। ফলে রোগ প্রবেশের আগেই দেহে সেই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়ে যায়।
সবকিছু ঠিক চললে সেপ্টেম্বর নাগাদই মিলতে পারে ১০ লক্ষ ডোস। ইতিমধ্যেই ভারতের একটি সংস্থাও যুক্ত হয়েছে অক্সফোর্ডের সাথে, এছাড়াও রয়েছে ব্রিটেনের ৩ টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা, ইউরোপের ২ টি ও চীনের একটি।
গোটা বিশ্বের কাছে এটা একটা আশার আলো। তবে গবেষক দলের চিফ ইনভেস্টিগেটর পোলার্ড জানিয়েছেন, প্রক্রিয়া জটিল এবং গোটা পৃথিবীর কাছে এই প্রতিষেধক পৌঁছাতে সব ঠিক থাকলে লেগে যেতে পারে এখনও আরো ৮ মাস।