করোনার সংক্রমণ যেরকম নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা ভারতবর্ষে ঠিক তেমনই বহু আক্রান্তের শরীরে অজান্তেই নোভেল করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অন্তত কনটেইনমেন্ট জোন এলাকার মানুষের একটা বড় অংশের শরীরে কভিড – ১৯ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এবং আজ বস্তুত প্রথমবার দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কে পেরিয়ে গিয়েছে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা।
ভারতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আর এক থেকে দেড় দিনের মধ্যেই ছাপিয়ে যেতে পারে বৃটেনের সংক্রমনের সংখ্যাকে, ভারত এখন বৃটেনের থেকে আর মাত্র ১১ হাজারে পিছিয়ে, কিন্তু দেশে মৃত্যুর হার বৃটেনের থেকে অনেক কম। যেখানে ব্রিটেনে মারা গিয়েছেন ৪০৫৯৭ জন সেখানেই ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা ৭৭৪৫। দেশে একটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩২ এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২০৫ জন।
দেশের ৭০ টি জেলায় সমীক্ষা চালিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং তাতে জানা গিয়েছে যে বেশ কিছু কনটেইনমেন্ট জোন গুলোর মোট জনসংখ্যার ৩০% সংক্রমিত হয়েও সেরে উঠেছে, এবং তাদের রক্ত অ্যান্টিবডি মিলেছে। এভাবেই যদি জনগোষ্ঠীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে ওঠে তাহলে কন্টাইন্মেন্ট জোন গুলোতে সংক্রমনের হার কমবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ৬০ শতাংশের মধ্যে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তাহলে ভাইরাস নতুন করে ছড়াতে পারে না।
তবে অতীতের অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এটিরও দ্বিতীয়বার ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না এ রকমই আশঙ্কা বহু চিকিৎসকের। অনেকে মনে করছেন শীতকালে কভিড -১৯ ব্যাপক আকার নিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও আশ্বাস দিয়েছেন যে যত দিন যাবে তত সংক্রমণের হার কমবে সুস্থ মানুষের সংখ্যাও বাড়বে।