এ বছরের শেষেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে করোনা টিকা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন সেরামের সিইও
নিজস্ব প্রতিবেদন, আক্রান্তের নিরিখে ভারত প্রতিদিন রেকর্ড গড়ছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় আসা রিপোর্ট অনুযায়ী ফের রেকর্ড গড়েছে ভারত, এবার আমেরিকাকেও পাল্লা দিল ভারত। গত চব্বিশ ঘন্টায় সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪৯,৩১০ জন। যা এ যাবৎ সর্বাধিক। দেশের মোট আক্রান্তও ১৩ লক্ষ ছুঁতে চলল। করোনা সংক্রমণ রুখতে দিন – রাত পরিশ্রম করে চলেছে দেশ সহ গোটা বিশ্বের তাবড় তাবড় গবেষকেরা। কিন্তু কবে এই অতিমারী করোনা থেকে মুক্তি পাবে দেশবাসী? কবে আসবে ভ্যাকসিন? অপেক্ষায় গোটা দেশ। এরমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। তাদের আশা, অক্টোবর-নভেম্বরেই করোনা টিকা বাজারে এসে যাবে। সেরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা এই আশা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা। সেখানে তাঁর কথা মতো এ বছরের শেষেই করোনা টিকা আসতে চলেছে ভারতের বাজারে। টিকার আগামী ট্রায়াল ভারতে আগামী মাসের মাঝামাঝি শুরু হবে, বলেই আশা করছে তিনি। টিকা তৈরির পরই ছাড়পত্র হাতে নেওয়া হবে, আর তারপরই ওড়িশা সরকার ও সেরাম ইনস্টিটিউট এ ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। নবীন পট্টনায়ক বলেছেন, “সব ছাড়পত্র মিলে গেলে করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওড়িশা প্রাধান্য পাবে বলে তাঁর আশা। এ ব্যাপারে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে রাজ্য সরকার”।
ইতিমধ্যে ভারতে কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরী হয়েছে, যার ট্রায়াল চলছে ১২ টি প্রতিষ্ঠানে। সেগুলির একটি হল ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও এসইউএম হাসপাতালে। চলছে স্বেচ্ছাসেবীদের খোঁজ।স্বেচ্ছাসেবকরা যেভাবে এতে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। প্রত্যেক আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবকের স্বাস্থ্যের অবস্থা খতিয়ে দেখে তাঁদের নমুনা দিল্লির একটি নির্দিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পরই শুরু হবে ট্রায়াল। উল্লেখ্য, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৬০১। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ১৫০,০০০।