করোনা অতিমারীর জেরে বিশ্বের সমস্ত দেশেরই অর্থনীতি পিছিয়ে পড়েছে। লকডাউন এর প্রভাবে রুজি রোজগার বন্ধ হয়েছে বহু মানুষের, তবে এর মধ্যে সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ অধুনা বিশেষ শিশুদের অবস্থা। অতিমারির আগে হওয়া একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছিল বিশ্বে মোট ৩৫ কোটি ৬০ লক্ষ শিশু চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পুষ্টিকর খাবার কথা তো বাদই দিলাম, দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার অব্দি এরা পাচ্ছে না। তবে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছে ইউনিসেফ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের চিলড্রেন্স ফান্ড।
গ্লোবাল এস্টিমেটস অফ চিল্ড্রেন ইন মনিটারি পোভার্টি-এন আপডেট এ জানানো হচ্ছে যে সাহারার নিকটবর্তী আফ্রিকার দেশ গুলির অবস্থা সবথেকে খারাপ, সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ শিশুর পরিবারের মাথাপিছু আয় দিনে প্রায় দু ডলার।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০১৭ এই চার বছরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও করোনার পর শিশু দারিদ্র্যের এই হতশ্রী অবস্থা আরো ভয়ানক ভাবে ফিরে আসছে।
বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে এই সমস্যা সর্বাধিক। লকডাউন এর জেরে দেশ গুলির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি দেশের জিডিপি প্রায় তলানীতে ঠেকেছে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশের মানুষের দুরাবস্থা। ইউনিসেফের এক কর্তার মতে ” করোনা পরবর্তী সময়ে শিশুদের অবস্থা আরো বাজে হয়েছে, লকডাউন চলতে থাকলে অবস্থার যে আরো অবনতি হবে তা বলাই বাহুল্য”।
এদিকে সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ ইউরোপকে যথেষ্ট বাজে ভাবে আক্রমণ করেছে। এক সপ্তাহেই আক্রান্ত ৯ লক্ষ ৭২ হাজার। ইউরোপের দেশ গুলিতে ফের মোতায়ন হতে চলেছে লকডাউন।