ফের সংক্রমণের শিখরে ইতালি

বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের জেরে ইউরোপের সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ছিল ইটালি। কিন্তু প্রশাসনিক চেষ্টার জোরে করোনার ভয়াবহতা তারা কাটিয়ে উঠেছিল, নিয়মমাফিক লকডাউন, সামাজিক দূরত্ববিধি এবং কড়া নিয়মানুবর্তিতার ফলে সংক্রমনের ভয়াবহতা শেষের দিকে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিল ইটালি। কিন্তু আবার সেখানে সংক্রমণ বাড়া শুরু হয়েছে।

গতকাল ইটালিতে সংক্রমিত হন ১০৯২৫ জন যা কিনা একদিনের নিরিখে এখনো অব্দি রেকর্ড। ইতিমধ্যেই আর্থিক মন্দার হাত থেকে বাঁচার জন্য ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ৪০০০ কোটি ইউরো আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে যার মধ্যে ১০০ কোটি ইউরো খরচ করা হবে দেশের স্বাস্থ্য খাতে।

প্রশাসনিক ইঙ্গিতে মনে হয়েছে ইটালি আবার খুব শীঘ্রই কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তারাই প্রথম করোনাকে বাগে আনতে পেরেছিল, কিন্তু লকডাউন তোলার পর থেকেই আস্তে আস্তে পরিস্থিতি বিগরাতে থাকে তবুও এতদিন তা আয়ত্তের মধ্যেই ছিল। কিন্তু সামনে শীতকাল আর এই সময় ইউরোপ জুড়ে শুরু হয় সিসনাল ফ্লু। সাধারণ ফ্লু এবং করোনার মধ্যে উপসর্গ জনিত সেরকম কোনো পার্থক্য না থাকায় তাদের আলাদা করা মুশকিল হয়ে ওঠে। ইতালিতে করোনা যখন শিখরে ছিল তখন একদিনের নিরিখে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০০১০। তবে এই শনিবার পুরনো রেকর্ড পার করেছে ইতালি আর তারপরেই প্রশাসন আরো বেশি করে নড়েচড়ে বসেছে। কিছুদিন আগেও সার্বিক লকডাউনের কথা উড়িয়ে দিয়েছিল ইটালির সরকার কিন্তু এখন হয়তো তারা আবার আর্থিক ক্ষতি উপেক্ষা করে লকডাউনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে।

পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ইটালিতে সমস্ত কিছু খুলে রাখা হয়েছিল। পাব এবং রেস্তোরাঁ সমস্ত কিছুই খোলা ছিল। তবে এখন আবার নতুন করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে অনেক রেস্তোরাঁ এবং পাব। রাস্তায় জমায়েতও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনার জেরে এখনো অব্দি ৩৬৪৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছে সেদেশে। মৃত্যুর নিরিখে গোটা ইউরোপে বৃটেনের পর তাদের স্থান।

Leave a Comment