আমেরিকায় করোনার সাথে চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু সিজেন

করোনার আক্রমণে এমনিতেই বিপর্যস্ত আমেরিকা, তারমধ্যে আসছে শীতকাল। এই সময়টিকে আমেরিকায় ফ্লু সিজেন বলা হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা সিজেনাল ফ্লু এর কারণে এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে নাগরিক আক্রান্ত হন। করোনা এবং ফ্লু এর উপসর্গ প্রায় এক, তাই এই দুই রোগ নিয়ে নাজেহাল হতে চলেছে মার্কিন মুলুক।

ইতিমধ্যেই করোনার জন্য হাসপাতাল প্রায় ভর্তি। অভাব রয়েছে চিকিৎসা সামগ্রীরও। তারমধ্যে করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার এই দ্বৈরথ রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে মার্কিন প্রশাসনকে। বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছেন “টুইনডেমিক সিচুয়েশন”।

সিজেনাল ফ্লু এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে মার্কিন চিকিত্সকেরা নাগরিকদের আগাম ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নিয়ে রাখতে বলেছেন। তবে এক্ষেত্রে এটা বলাই বাহুল্য যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনে করোনা আটকাবে না।

ইতিমধ্যেই দুই লাখেরও বেশি লোভ করোনায় মারা গিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ প্রায় এক, তাই এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে টেস্টিং ছাড়া এটা বোঝাই দুষ্কর যে কার করোনা হয়েছে আর কার ইনফ্লুয়েঞ্জা।

হাসপাতালগুলোতে শয্যার অভাব, চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীরাও ওভারটাইম করে নাজেহাল হয়ে উঠেছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী এই শীতকালটা আমেরিকার জন্য বেশ চিন্তার কারন হতে চলেছে।

গত নয় মাসে গোটা বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটিরও বেশি মানুষ, শুধুমাত্র আমেরিকাতেই সংখ্যাটা ৭০ লক্ষ। ইনফ্লুয়েঞ্জার থেকে করোনা যে অনেক বেশি সংক্রামক সেটা প্রমাণিত। ইনফ্লুয়েঞ্জায় কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে তার উপসর্গ প্রায় দুই থেকে তিন দিনেই দেখা যায় কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ দিন লেগে যায় শুধু উপসর্গ দেখা দিতে। তাই গোটা বিশ্বের কাছে করোনা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা মানুষকে অতিরিক্ত সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

Leave a Comment