শুরু হচ্ছে ‘ক্লোন ট্রেন’ পরিষেবা, ৪০ টি ট্রেন চালাবে ভারতীয় রেল
নিজস্ব প্রতিবেদন, চালু হচ্ছে ‘ক্লোন ট্রেন’ পরিষেবা। এদিন থেকে চালু হল ৪০ টি ট্রেন। বঙ্গে তবে মাত্র ২ টি ট্রেন চলবে। কয়েকটি নির্দিষ্ট রুটে যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ জোড়া বিশেষ ‘ক্লোন ট্রেন’ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, কয়েকটি নির্দিষ্ট রুটে যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ জোড়া বিশেষ ‘ক্লোন ট্রেন’ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রেনগুলির আসন পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে এবং সীমিত স্টেশনে দাঁড়াবে।
ট্রেনগুলির আসন পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে এবং সীমিত স্টেশনে দাঁড়াবে।এরমধ্যে ১২ জোড়া অর্থাৎ ২৪ টি ‘ক্লোন ট্রেন’ পেয়েছে বিহার। সাহারসা, রাজগির,দারভাঙ্গা, মুজফ্ফরপুর, রাজেন্দ্র নগর, কাটিহার, জয়নগর, দানাপুর, ছাপরা এবং পাটনা থেকে সেই ট্রেনগুলি ছাড়বে। কোনও ট্রেন যাবে নয়াদিল্লি, কোনও কোনও ট্রেনের গন্তব্য সেকেন্দ্রাবাদ, আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, সুরাত এবং অমৃতসর। এছাড়াও যশবন্তপুর, নিজামুদ্দিন, বান্দ্রা টার্মিনাস, ভাস্কো দ্য গামা, বারাণসী, লখনউয়ের মতো বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক বা একাধিক ট্রেন ছাড়বে।
তবে বঙ্গে চলছে মাত্র ১ জোড়া ট্রেন। নিউ জলপাইগুড়ি এবং অমৃতসরের মধ্যে চলবে সেই দুটি ট্রেন। হামসফর ট্রেনের রেক ব্যবহার করে সেই ট্রেন দুটি চালানো হবে। ভাড়া পড়বেও হামসফর ট্রেনের মতোই। (০৪৬৫৩ নিউ জলপাইগুড়ি – অমৃতসর) প্রতি শুক্রবার সকাল ৭ টায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন ছাড়বে। অমৃতসর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় বিকেল ৪ টে ২০ মিনিট।২) (০৪৬৫৪ অমৃতসর -নিউ জলপাইগুড়ি) প্রতি বুধবার সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে অমৃতসর থেকে ট্রেন ছাড়বে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট। এই দুটি ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি, কাটিহার, সমস্তিপুর, ছাপরা, গোরক্ষপুর, সীতাপুর জংশন, সাহারানপুর এবং অমৃতসর – এই কয়েকটি স্টপেজে দাঁড়াবে। আসন সংরক্ষণ শুরু হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই। জানা গিয়েছে, ১০ দিন আগে থেকে বুকিং করা যাবে।
এতদিন মাত্র ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে স্পেশ্যাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল মন্ত্রক। এতদিন পর্যন্ত সারা দেশে যে ক’টি স্পেশ্যাল ট্রেন চলেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। ফলে যাত্রীদেরও বিপুল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে রেল মন্ত্রক।