গলওয়ান উপত্যকা নিয়ে পরিস্থিতি সরগরম ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। বিশেষ করে ১৫ ই জুন কুড়ি ভারতীয় সেনা শহীদ হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়, এদিকে ভারত চীনের ৪৩ সেনা মারার দাবি করলেও চীন কোনদিনই তাদের দিকে ১৫ ই জুন এর মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কোন কিছুই দাবি করেনি। এর আগে বেশ কয়েকবার কোর কমান্ডার লেভেলের ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও চীন সেনাদের সেটা কখনোই মানতে দেখা যায়নি। কিন্তু ভারতের সুস্পষ্ট জবাব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেহ সফরের পর অবশেষে চীন সেনাদের পিছু হটছে দেখা গেল। পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকা থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেল চিন সেনা। যদিও পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক এর উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়াতে এখনো অব্দি পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
গত ১৫ ই জুন চীনের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প সরানোর উদ্দেশ্যে ভারতীয় সেনারা এগিয়ে গেলে নিরস্ত্র ভারতীয় সেনাদের ওপর চীন সেনারা কাঁটাতার যুক্ত বেসবল ব্যাট এবং লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে, এবং যার ফলে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়ে যান কিন্তু এই ঘটনার পর ভারতীয় সেনার প্রতিআক্রমনে ৪৩ জন চীন সেনা মারা গেছে বলে ভারতীয় সেনার পক্ষে দাবি করা হয়েছিল, যদিও চীন তাদের পক্ষে ঠিক কতজন সেনা মারা গিয়েছে তার হিসেব এখনো অব্দি দেয়নি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এ এন আই একদিন তাদের খবরে প্রকাশ করে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ভূখণ্ডের ওই এলাকা থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার সরেছে চীন সেনা।
তবে চীনের উপর ভারতসহ আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুলোর চাপের জন্যই চিন সেনা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ঠিক এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে চীন যদি ভারতকে হংকং বা তিব্বতের সাথে গুলিয়ে ফেলে তাহলে তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদল করার সময় হয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেহ যাত্রা, এবং সেখান থেকেই চীনকে সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া জিনপিং সরকারকে যথেষ্ট নাড়িয়ে দিয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক মহলে মনে করা হচ্ছে।