বদলায়নি চিন! লাদাখ সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ, পাল্টা জবাব দিতে তৈরি ভারতও
নিজস্ব প্রতিবেদন, লাদাখে ভারত – চীন সংঘর্ষের বিরাম নেই। বারংবার বৈঠকে পারস্পরিক সমঝোতায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ফল মেলেনি। এখনও অব্যাহত ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত।গোপন রিপোর্ট বলছে, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বরাবর ৪০ হাজার চিনা সৈন্য উপস্থিত রয়েছে। তাই বলাই যায় গালওয়ানের বরফ এখনও গলেনি। সূত্রের খবর, লাদাখে এখনও পিছু হঠতে রাজি হয়নি চিনা সেনা।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার লাদাখের ওই অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব দৃশ্যটা দেখা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত।কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক দফার বৈঠক এবং শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের হস্তক্ষেপ সত্বেও উত্তেজনা প্রশমন করতে চুক্তি মানতে রাজি হচ্ছে না চিন। যে কারণে, তারা পূর্ব লাদাখে প্রচুর সেনা মোতায়েন করে রেখেছে এখনও।এমনকী যে প্যাংগং লেক নিয়ে এত বিতর্ক, সেই লেকের ফিঙ্গার ৫ এলাকা থেকে এখনও সরছে না লালফৌজ। ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এখনও যেতে পারছেন না ভারতীয় সৈনিকরা।
অবশ্য চিন যে এত সহজে বদলাবে না, তা আগেই টের পেয়েছিল ভারতীয় সেনারা। কারণ চীনের দেওয়া ‘কথা’ আর ‘বাস্তব’-এর মধ্যে অকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। তাই পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনারাও। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ই চিনকে পাল্টা জবাব দিতে রণনীতি সাজাচ্ছে ভারতও। জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর হাতে থাকা MiG-29K যুদ্ধবিমান ইতিমধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেশের উত্তর ভাগের বায়ুসেনার একাধিক বিমানঘাঁটিতে। চিনকে যাতে দ্রুত প্রত্যাঘাত করা যায়, সেই জন্যই ভারতীয় নৌ-বাহিনীর এই তত্পরতা বলে মনে করা হচ্ছে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘ফিঙ্গার ফাইভ এরিয়া’য় নজরদারি পোস্ট তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে চিন। এতেই ভারতের প্রবল আপত্তি। প্রকৃত নিন্ত্রণরেখার বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে চিনা সেনার এরকম অবজার্ভেশন পয়েন্ট গঠন করা নিয়েই গত ৫ মে থেকে চরম সংঘাত দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের।