গত বছর ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহর থেকে গোটা বিশ্বে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা। এখনো পর্যন্ত এই অতিমারির কোন সদুত্তর খুঁজে পায়নি গোটা বিশ্ব। করা পদক্ষেপের মাধ্যমে চীন অনেকটাই সামলে নিয়েছে করোনার প্রকোপ। তবে চীনের কিংদাও শহরে নতুন করে ১২ জনের করোনা ধরা পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহর জুড়ে।
কিংদাও প্রশাসনের দাবি, সেই শহরে বিদেশিদের করোনার চিকিৎসা করার একটি হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত হয়েছেন ওই ১২ জন, এদের মধ্যে ৬ জনের কোন উপসর্গ নেই।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিংদাও শহরবাসীদের সাবধান করা হয়েছে, এবং আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কিংদাও এর প্রায় ৯০ লক্ষ বাসিন্দাদের করণা পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে গোটা বিশ্বে করোনার আতঙ্ক এখনো বিদ্যমান। গোটা বিশ্বে মোট সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর মতে সামনের সিগনালে আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদিকে গোটা ইউরোপ জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। সেদেশের হাসপাতাল এবং আইসিইউ গুলি ইতিমধ্যেই ভরে গিয়েছে। এর সাথেই চলছে লকডাউন এবং মাস্ক বিরোধী আন্দোলন, বিশেষজ্ঞদের মতে এই আন্দোলনগুলি একেকটি সুপার স্প্রেডারে পরিণত হচ্ছে এবং তার জেরেই সংক্রমণ সংখ্যা আরো বাড়ছে।
বৃটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে মার্চ মাসের থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি, এবং ইউরোপে ফ্লু সিজন শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর চাপ বহুল পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ ফ্লু এবং করোনার মধ্যে উপসর্গ জনিত পার্থক্য কম থাকার কারণে করোনার রোগীকে চিহ্নিতকরণে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাম ছুটে যাচ্ছে।