রাজ্যের করোনা এবং লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুটি কেন্দ্রীয় দল উপস্থিত হোলো রাজ্যে। একটি দল হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, কলকাতা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা খতিয়ে দেখবে এবং অন্য দলটি যাবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এই নিয়ে এদিন কথা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই ঘটনাকে যুক্তি ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে এবং এই ঘটনার যথাযথ ব্যাখ্যা দাবি করেন। তিনি এটিও জানান যে বিনা কোনো ব্যাখ্যায় রাজ্য এ বিষয়ে এগোতে অপারগ। পাশাপাশি 3 পাতার একটি চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেন আলোচনা ছাড়া এহেন পদক্ষেপ সরকার পরিচালনার প্রতিষ্ঠিত পদক্ষেপের বিরোধী।
তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি অনুযায়ী এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত, যেখানে জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে 14 দিন ধরে কোনো সংক্রমণের খবর নেই তাও কি করে সেখানে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়। যেখানে দিল্লী ও উত্তরপ্রদেশের অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় আরো খারাপ তাও সেখানে কেন্দ্রীয় দল অনুপস্থিত কেন সেই প্রশ্নও তোলা হয়।
কেন্দ্রের পাল্টা দাবি অনুযায়ী ওই সাতটি জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী এখানে লকডাউন পরিস্থিতি ঠিক ভাবে মানা হয়নি, কেন্দ্র রাজ্যকে বারবার জানানো সত্ত্বেও রাজ্যের পদক্ষেপে কেন্দ্র মোটেই খুশি নয়।
কার্যত বিনা নোটিশে রাজ্যে দল পাঠানোয় ক্ষুব্ধ নবান্ন। একটি বিশেষ মালবাহী বিমানে দলটি রাজ্যে আসে।