বিশেষ সুরক্ষার জন্য লোকাল ট্রেনে লাগানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে প্রায় ৭ মাস বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। ফের বিশেষ নিরাপত্তার সঙ্গে চালু হবে ট্রেন এমনই শোনা যাচ্ছে। এবার যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাওড়া শিয়ালদা সহ সমস্ত শাখায় লোকাল ট্রেনের কামরাগুলি চালানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর ফলে নিয়মিত চলন্ত ট্রেনে চুরি-ছিনতাই, শ্লীলতাহানীর মত ঘটনাগুলিকে আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, “যে সব নতুন ইএমইউ রেক আসছে তাতে সিসিটিভি বসানো থাকছে। এগুলি সবই মেধা কোম্পানির রেক। আগে শুধু লেডিজ স্পেশালে এই সুবিধে থাকত। এখন সব ইউএমইউ ট্রেনে করা হচ্ছে।” এদিকে প্রাক্তন আইপিএস এবং রেলবোর্ডের প্রাক্তন সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার নজরুল ইসলাম বলেন, “সিসিটিভি থাকলে ট্রেনের কামরার ভিতরে কোনও অপরাধ সংগঠিত হলে তা চালক এবং গার্ডরা দেখতে পাবেন। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য এটা ভাল পদক্ষেপ। তবে সিসিটিভিগুলি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে কি না, সেটাই প্রশ্ন।”
রেল সূত্রের খবর, আরডিএসও-র (রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইনিং অর্গনাইজেশন) পরামর্শ মেনে সিসিটিভির নকশা তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি। সেই নকশা মেনে রেলের সমস্ত শাখাকে ইএমইউ লোকাল ট্রেনে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল বোর্ড। করোনার জন্য লোকাল ট্রেন এখন বন্ধ। এই সুযোগে লোকাল ট্রেনে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। রেল সূত্রের খবর, প্রতিটি কামরায় গড়ে ৫-৬টি উচ্চক্ষমতার আইপি ডোম সারভেইল্যান্স ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তা দিয়ে ট্রেনের কামরায় কী ঘটছে, সবটাই দেখতে পাবেন মোটরম্যান এবং গার্ড। এর জন্য মোটরম্যানের কামরায় একটি টিভি স্ক্রিন বসানো থাকবে। সেই ছবি নিজে থেকে রেকর্ড হয়ে যাবে। মূল সার্ভারটি থাকবে রেলের কোনও দফতরে।