দেশজুড়ে চলছে চরম বিক্ষোভ। বৃটেনের বেশিরভাগ নাগরিকেরাই মানতে চান না কোন করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ। কিছুদিন আগেই ট্রাফালগার স্কয়ারে হয়েছিল বিশাল বিক্ষোভ, কিন্তু এর মধ্যেই নতুন করোনা আইন জারি করা হচ্ছে ব্রিটেনে, যা না মানলে জরিমানা দিতে হবে হাজার পাউন্ড থেকে প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত।
গোটা বিশ্বে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকো। বিশ্বের মোট মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের। কিন্তু মৃত্যুর হার দেখতে গেলে আমেরিকার সাথে পাল্লা দিচ্ছেন ইউরোপের দেশ গুলি। যেখানে ভারতে প্রতি ১০ লাখে মৃতের সংখ্যা মাত্র ৬৯, সেখানে ব্রিটেনে সংখ্যাটি ৬১৮, আমেরিকায় ৬৩২, স্পেনে ৬৬৮ এবং ফ্রান্স ও ইতালিতে সংখ্যাটি যথাক্রমে ৪৮৬ ও ৫৯৩।
ইউরোপের বহু দেশে নতুন করে লকডাউনের পথে এগোচ্ছে। ব্রিটেনে নতুন প্রণীত আইন অনুযায়ী এক জায়গায় ছয় জনের বেশি জড়ো হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। বিগত কয়েক মাস ধরেই তীব্র বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে গোটা ব্রিটেনজুড়ে। বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পাটেল বলেন “মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই আইনে এতটা কড়াকড়ি আনা হয়েছে। সবার উচিত দেশের স্বার্থে নিজের কর্তব্য পালন করা, করোনার পজেটিভ রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখুন, তার সংস্পর্শে যারা যারা এসেছেন তাদেরকেও আইসোলেশনে থাকতে হবে। কেউ যদি এই সাধারণ নিয়মাবলী না মানে তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালিন কোন ব্যক্তিকে জোর করে অফিসে নিয়ে এলে সেই সংস্থারও জরিমানা হবে। আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের ১৪ দিনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ পাউন্ড অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে”। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনার উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, বাকিরা আইসোলেশন মানছেন না।