প্রথমে তিনি করোনাকে তোয়াক্কা করেননি, হেলায় বলেছিলেন রোগটি সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির মতই, তারপর করোনা আক্রান্ত হন তিনি এবং সুস্থ হওয়ার পর ডাক্তারদের কৃতজ্ঞতা জানান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।
কিছুদিন আগেই একটি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম এস্ট্রোজেনেকা কে উদ্ধৃত করে বলেছিল যে বড়দিনের মধ্যেই আসতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন। বস্তুত অস্ট্রোজেনেকার সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং তাদের তৈরি ভ্যাকসিন বাকি সবকটির থেকে এগিয়ে রয়েছে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বরিস জনসন জানান “করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী, আমি জানি আমাদের লড়াই এখনো চালিয়ে যেতে হবে, সামনের শীতকালটা ভয়ানক হতে পারে কিন্তু সাবধানে চললে আমরা করোনা কে হারাতে পারবো, দেশের বিজ্ঞানীদের উপর ভরসা আছে। সম্ভবত বড়দিনের আগেই আমরা করোনার টিকা পেতে চলেছি”।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ এখন ইউরোপে। সংক্রমণ সংখ্যা শীতকালে আরো বাড়তে পারে, ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে, স্পেনও ১০ হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে, ইটালিতে ও সংক্রমণ সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই আবার লকডাউন লাগু করার ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্রিটেনে আইনি ব্যবস্থায় যথেষ্ট কড়াকড়ি আনা হয়েছে। প্রতিটি দেশের সরকার পক্ষ থেকে নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য।
এদিকে আমেরিকাতেও আবার নতুন করে শুরু হয়েছে সংক্রমণ। নিউইয়র্কের
ব্রুকলিন এবং কুইন্স এলাকার নটি অঞ্চলকে স্পর্শ কাতর ঘোষণা করে শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত কিছু বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চল গুলিতে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি।