চীনের করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ : ব্রাজিল

চীনের সিনোভাক বায়োটেকের সম্ভব্য করোনা ভ্যাকসিন ” করোনাভ্যাক” -এর মানবদেহে ট্রায়েল চলছিল ব্রাজিলে। সম্প্রতি প্রতিষেধক টি নিরাপদ বলে জানাল সাও পাওলোর বুটানটান ইনস্টিটিউট। তবে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ হলেও করোনার বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা ঠিক কতটা তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে এবং খুব শীঘ্রই তার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে।

ব্রাজিলের ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর সিনোভাক এর ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চলছে। সিনোভাক এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে করোনা প্রতিরোধে তাদের ভ্যাকসিনের দুটো ডোসই যথেষ্ট। ট্রায়ালের প্রাথমিক রিপোর্টে ভাসাসিনটিকে মানব শরীরে নিরাপদ বলেই ঘোষণা করা হয়েছে।

বুটানটান ইনস্টিটিউট-এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় “এখনো পর্যন্ত পরীক্ষা করা ভ্যাকসিন গুলির মধ্যে করোনাভ্যাক যথেষ্ট নিরাপদ, আপাতত ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছে তবে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এখনো আরো ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এটি প্রয়োগ করতে হবে”।

ভাসাসিনটি প্রয়োগের পর খুব হালকা পার্শপ্রতিক্রিয়া যেরকম মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাব লক্ষ করা গেছে মাত্র কুড়ি শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের উপর, প্রথম ডোস প্রয়োগে মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন প্রায় ১০% স্বেচ্ছাসেবক তবে শারীরিকভাবে তারা সকলেই এখন নিরাপদ আছেন।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষ থেকেই ভাসাসিনটিকে সাধারণ নাগরিকদের জন্য বাজারে আনা হবে, ইতিমধ্যেই ব্রাজিল সরকার সিনোভ্যাকের সাথে ৬ কোটি ডোসের জন্য চুক্তি করেছে। বিশ্বের কাছে প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা বাজারে আনে রাশিয়ার গ্যামালিয়া ইনস্টিটিউট, তাদের স্পুটনিক-ভি এর কার্যকারিতা নিয়ে আগামী মাসে রিপোর্ট দিতে চলেছে গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট। এছাড়া আমেরিকার ফাইজার এবং মডার্না তাদের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে তবে এখনো অব্দি সবথেকে বেশি নির্ভরতার দৃষ্টি দিয়ে দেখা হচ্ছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং এস্ট্রোজেনেকার সম্মিলিত উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনটিকে।

Leave a Comment