লকডাউন তোলার পর উপচে পড়ছে পর্যটনকেন্দ্র গুলি। হোটেলেও পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় ছাড়। পাব থেকে রেস্তোরাঁ সর্বত্রই লোকের ছড়াছড়ি। করোনা সংক্রান্ত সামাজিক দূরত্ববিধি একেবারেই মানা হচ্ছে না। ইউরোপের বাকি দেশগুলোর মত ব্রিটেনেও লাগাতার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞদের মতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ইউরোপকে গ্রাস করতে চলেছে।
তাই ইংল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কড়া পদক্ষেপ নিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাত দশটার মধ্যে পাব থেকে রেস্তোরাঁ সমস্ত কিছু বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন, যদি রাত দশটার পর কোন কিছু খোলা থাকে তাহলে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘর থেকে কাজ করার সুবিধা থাকলে সেটা করার কথা বলা হয়েছে। বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক, এবং মাস্ক না পড়লে চড়া জরিমানা ভরতে হবে।
সামাজিক দূরত্ববিধির ক্ষেত্রে ও নেওয়া হয়েছে কড়া পদক্ষেপ। কোন অনুষ্ঠানে ১৫ জনের বেশি থাকতে পারবে না। বন্ধ করা হয়েছে সমস্ত ইনডোর গেম সেন্টার। পর্যটন এবং বিনোদন ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং অন্যথা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মার্চ মাস নাগাদ যখন ইউরোপের করোনা পরিস্থিতি সবথেকে বেশি ভয়ানক ছিল তখন ব্রিটেনে প্রতিদিন সংক্রমণ সংখ্যা হাজারের একটু বেশি ছিল কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ এ দাঁড়িয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স এবং স্পেনের অবস্থাও এক।
তবে বরিস জনসন জানিয়েছেন যে নতুন করে লকডাউন কার্যকর করা হবে না তবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ লাগু করা হবে আগামী ছয় মাসের জন্য কারণ করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।