সুস্থ বোলসোনারো !

প্রথমদিকে করোনা কে অবহেলা করেছিলেন বরিস জনসন, বলেছিলেন করোনা একটি সাধারণ ফ্লু এর মতো, কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি নিজেই করোনা তে সংক্রমিত হন এবং সুস্থ হয়ে ওঠার পরে বলেন ” চিকিৎসকদের দয়ায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম”। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো প্রথম দিকে করোনা কে তুচ্ছ করলেও পরবর্তীকালে তিনি নিজেই করোনাতে সংক্রমিত হন, এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বলেন ” অনেক লোক অকারণে রোজই মারা যায়, করোনা কে আলাদা করে ভয় পেলে চলবে না”।

তবে বৃটেনের বরিস জনসন ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সাথে চুক্তি সেরে রেখেছেন, এমনিতেও করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড। ব্রিটেনে এই মুহূর্তে ফাস্টফুড এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারের বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা লাগানো হয়েছে। যতদিন ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ না আসছে ততদিন দেশের লোকের সুস্থতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, সঠিক ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে অনুরোধ করা হচ্ছে নাগরিকদের। মৃতের নিরিখে ব্রিটেন চতুর্থ স্থানে, সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬১১৯।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট যাইরে বলসেনারো প্রথম থেকেই বেপরোয়া ছিলেন। সংবাদ মাধ্যমে অনেক কটূক্তিও করেছেন। মৃত্যুর নিরিখে ব্রাজিল দ্বিতীয়, মৃতের সংখ্যা সেখানে প্রায় ৯৩ হাজার। মাস্ক পরার ওপর কখনো জোর দেননি তিনি এবং দেশবাসীকেও কখনো সেভাবে সাবধানতা অবলম্বনে সচেতন করেননি। ৬৫ বছর বয়সী বলসেনারো বলেন ” হয়তো এমন একটা দিন আসবে, যখন দেখা যাবে যে সবাই সংক্রমিত। মৃত্যু সবসময় দুঃখজনক, তাই বলে করোনা কে ভয় পেলে চলবে না, আমি জানতাম আমারো একদিন করোনা হবে। কত লোক তো রোজই মারা যাচ্ছে বিভিন্ন কারণে, এটাই জীবন “। কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরোনোর পর মাস্ক
ছাড়াই তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। মাস্ক বিরোধী বোলসোনারো বলেন ” দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়ছে, এর থেকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন খান এবং কাজে যান”। কিন্তু করোনা চিকিৎসায় যে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন কোন কাজে দেয় না সেটা চিকিৎসকেরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন।

এদিকে মৃতের নিরিখে শীর্ষে থাকা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অনেকটা বোলসোনারোর ভাষায় কথা বলেন। তিনিও কোনোদিন মাস্ক পড়ায় জোর দেননি, এমনকি লকডাউন ও দূরত্ব বিধি মানার ব্যাপারেও তিনি বরাবর অবহেলা দেখিয়েছেন। আমেরিকার মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে, সংক্রমিত ৪৭ লক্ষ, অথচ ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, পরীক্ষা বেশি হচ্ছে তাই সংক্রমণ সংখ্যা বেশি করে মানুষের সামনে আসছে।

তবে আশার আলো হিসেবে উঠে এসেছে রাশিয়ার দাবি। ব্লাডিমের পুতিনের দেশ দাবি করেছে যে তারা করোনার প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে এবং অক্টোবর থেকেই গণ ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে।

Leave a Comment