করোনা-মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে নাম কুড়িয়েছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন । তাই এই অত্যাবশকীয় ঔষধটির চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ চেয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। শুধু আমেরিকাই নয়, অন্য আরও দেশও এই ওষুধটির জন্য ভারতের সাহায্য চাইছে। ভারত সরকারও বিশেষ পরিস্থিতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) চিকিৎসকদের অনুমতি সাপেক্ষে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত উর্দ্ধগতিশীল। মৃত্যুর সংখ্যাও দু’শো পেরিয়ে গিয়েছে। এই সব বিচার বিবেচনা করে ভারতের একাধিক ঔষুধ তৈরির কারখানাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরির বরাত দেওয়া হলো ।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি ছাড়পত্র পেল আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের হাতে তৈরি বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।বৃহস্পতিবার নবান্নে বণিক মহলের সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন তৈরির বিষয়ে জানতে চান বেঙ্গল কেমিক্যালসের প্রতিনিধির কাছে। তখন তাঁরা ওষুধ বানানোর ছাড়পত্রের আর্জি জানিয়েছিলেন। শুক্রবার রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলও তাতে অনুমতি দিল। ওষুধ তৈরির সামগ্রী পাওয়া গেলেই বেঙ্গল কেমিক্যালস-এ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ওষুধ তৈরির প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, সে বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বেঙ্গল কেমিক্যালসের তরফে জানানো হয়েছে। কাঁচামাল এবং সামগ্রী পাওয়া গেলেই, উৎপাদনও শুরু হবে। তবে, এ রাজ্যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কোনও ঘাটতি নেই বলেই এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমেরিকার মতো যে সব দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তারা ভারতের উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর জন্য নির্ভরশীল। তাই ওই সব দেশে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে ভারত মানবিকভাবে বিচার করছে। একই সঙ্গে দেশে যাতে ওষুধের ঘাটতি না হয়, সে দিকেও নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।